বাউফলে চোর সন্দেহে যুবককে রাতভর নির্মম নির্যাতন

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৯ | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে চোর সন্দেহে মো. সোহাগ মুন্সি (২৭) নামে এক যুবককে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে। চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য সুঁই দিয়ে ওই যুবকের হাত পায়ের আঙুলে আঘাত করা হয়েছে। আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে রবিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সোহাগ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা মো. ওমর আলী মুন্সির ছেলে। তিনি পেশায় জেলে।

সূত্রে জানা গেছে, বাবা ওমর আলীর সঙ্গে রাগ করে গত শনিবার বিকালে কালাইয়া লঞ্চঘাট থেকে এমভি ঈগল লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন সোহাগ। রাত সোয়া ৭টার দিকে লঞ্চটি ধুলিয়া ঘাটে পৌঁছায়। ওই সময় সোহাগের প্রতিবেশী মো. লোকমান খানের (৩০) নেতৃত্বে ছয়-সাতজনের একটি দল স্পিডবোটে করে ওই লঞ্চে উঠে সোহাগকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় লোকমান খানের দুটি আলী আহম্মেদ খানের চারটি গরু চুরি হয়। ওই ছয়টি গরু চুরি সন্দেহে সোহাগকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে চর রায়সাহেব এলাকায় নদীর পাড়ে নিয়ে প্রথম দফায় পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে মোটরসাইকেলে করে একটি মাছের ঘেরের কাছে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করে আকববর আলীর ঘরে নিয়ে আটকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। সেখান রবিবার বেলা ১১টার দিকে চরওয়াডেল খানকা এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করা হয়। গরু চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য সোহাগের হাত পায়ের আঙুলে সুঁই দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাটি জেনে স্থানীয় চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস সোহাগকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাচ মোল্লা বলেন,‘গরু চুরির অভিযোগে মারধর করেছে, ঘটনা সত্য। যেহেতু চুরির কোনো প্রমাণ নাই, তাই তাকে (সোহাগ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি

বিষয়ে জানার জন্য লোকমানের ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তার বড় ভাই মো. ফোরকান বলেন,‘গরু চুরির বিচারের খবর পেয়ে সোহাগ পালিয়ে যাচ্ছিল। কারণে তাকে ধরে আনার পর কয়েকটি চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগ সত্য না। তবে তিনি সোহাগকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,‘ বিষয়ে তাকে কেউ জানাননি। তবে কাউকে চুরির অভিযোগে আটক করে মারধর করার কোনো সুযোগ নাই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :