অবশেষে নেকাব পরেই ভাইভা দিলেন সেই ছাত্রী

অবশেষে নেকাব পরেই ভাইভা দিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আলোচিত সেই ছাত্রী। ভাইভার নির্ধারিত তারিখের দেড় মাস পর শনিবার ভাইভা পরীক্ষা দিলেন তিনি।
ভাইভার আগে আলাদা কক্ষে নিয়ে দুই নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হয় ভাইভা বোর্ড।
পরীক্ষার সময় ভাইভা বোর্ডে বিভাগের সভাপতি শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনা, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও প্রভাষক ফারিয়া ইসলাম অরিদি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আলোচিত ওই ছাত্রী পুরুষ শিক্ষকদের সামনে নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নেয়নি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভাইভা বোর্ড। এ নিয়ে সারাদেশে তুমুল সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়।
পরে গত সোমবার উপাচার্য ওই বিভাগের শিক্ষকদের ডেকে ভাইভা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নেকাব না খুলেই ভাইভা নেওয়ার কথা জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় তার ভাইভা নেওয়া হয়।
ভাইভা বোর্ডের সভাপতি শিমুল রায় বলেন, আমরা ওই ছাত্রীর ভাইভা পোস্টপন্ড রেখেছিলাম। আজ (শনিবার) সেই ভাইভা নেওয়া হয়েছে। এর আগে উপাচার্য স্যারও আমাদের ডেকে ভাইভা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, বিভাগের পক্ষ থেকে নেকাব না খোলার বিষয়ে আশ্বাস পেয়ে ভাইভায় অংশ নিয়েছি। ভালোভাবেই ভাইভা সম্পন্ন হয়েছে। স্যার ও ম্যামরাও আন্তরিক ছিলেন। আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে আমি চাই পরবর্তী সময়ে অন্য কারো সঙ্গে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটুক।
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ওই ছাত্রী নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নেয়নি শিক্ষকরা। ওই ছাত্রী বোর্ডের পুরুষ সদস্যদের সামনে মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানানোয় এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তী সময়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে এর প্রতিবাদে ২১ জানুয়ারি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ২২ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও ঘটনার বিচার দাবি করে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়।
পরে উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের ডেকে ভাইভা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘ধর্মীয় বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।’
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন