মার্চের সাহস ও বাঙালি জাতির পথ
একটি সাহস নিয়ে জেগে উঠেছিল গোটা বাঙালি জাতি। সেই সাহসই মুক্তির পথ খুলে দিয়েছিল। আর সেই মুক্তির মহাসড়ক ধরেই তিরিশ লাখ মানুষের রক্তে ভেসে এসেছিল আমাদের স্বাধীনতা। মার্চ মাসটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসের ১৭ তারিখেই জন্মেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বিশ্বাস করি- একজন মুজিব জন্ম না নিলে বাংলাদেশ নামক দেশটি আমরা পেতাম না। পেতাম না, এজন্য বলছি- কারণ বাঙালি জাতির নেতৃত্ব দেবার মতো নেতা সেসময় কেউ আর ছিলেন না।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম, শোষণ-বঞ্চনা, জেল-জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বাঙালি। কিন্তু তাদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার মতো নেতা ছিলেন না। ওই সময়ের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে একক নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই ছিল আইন। তার কথাতেই চলেছিল গোটা দেশ। তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা এবং পূর্ববাংলার গণমানুষের মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ একদিকে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান, অপরদিকে বাংলার আপামর জনগণের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে একাত্তরের মার্চে একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার এই সাংবিধানিক অধিকার ছিল। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের লাখো জনতার উপস্থিতিতে ওই ঐতিহাসিক ঘোষণার আলোকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু তার সাংবিধানিক অধিকার থেকেই ২৬শে মার্চ মধ্যরাতে বিডিআর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলা ভাষা দিবস উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রাম শুরু হয়। তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের বুকের তাজা রক্তস্রোতের মাধ্যমে। সেই বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেই বাঙালি জাতি খুঁজে পায় তাদের হারানো হাজার বছরের স্বপ্নসাধ স্বাধীনতা উদ্ধারের মূলমন্ত্র। চুয়ান্নর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয়। ছাপ্পান্নতে এসে সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান করা হয়। বাষট্টিতে শিক্ষা কমিশন আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ছেষট্টিতে লাহোরে ৬ দফার স্বাধিকার আদায়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আটষট্টিতে বঙ্গবন্ধুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়। ঊনসত্তরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আসে আমাদের স্বাধীনতার ডাক। জনতার প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের মুক্তির পর ১৯৬৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে তৎকালীন তুখোড় ছাত্রনেতা ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদের প্রস্তাবে জনতার মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ওই জনসভা থেকেই বঙ্গবন্ধু দেশের নাম ‘বাংলাদেশ’ ও জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র ঘোষণা দেন।
এরপরের ঘটনাগুলো আমাদের জানা। একাত্তরের পহেলা মার্চ পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৩ই ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ৩রা মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন হঠাৎ করেই স্থগিত ঘোষণা করেন। জেনারেল ইয়াহিয়ার এ ঘোষণার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৫ই ফেব্রুয়ারি ৩রা মার্চের জাতীয় অধিবেশন বয়কটের যে আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তার সঙ্গে তাল মেলানোর জন্যই যে অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন- তা আর বুঝতে কারও বাকি থাকে না। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার সূত্র ধরে ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়ে সমগ্র জাতি জোটবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নেয় চূড়ান্ত যুদ্ধের। ঘরে ঘরে শুরু হয় প্রস্তুতি। তরুণদের রক্তে আগুন জ্বলে ওঠে। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সারা দেশের জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও পাড়া-মহল্লায় গঠিত হয় সংগ্রাম কমিটি। সংগ্রহ হতে থাকে অস্ত্র। চলতে থাকে প্রশিক্ষণ। গড়ে তোলা হয় সর্বত্র প্রতিরোধের মোর্চা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রবাসী মুজিব নগর সরকার। আর এই প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতি ফিরে পায় তাদের স্বাধীনতার সাধ। একাত্তরের এই মার্চ মাসের মতো এমন অগ্নিঝরা, ঘটনাবহুল সমুজ্জ্বল কোনো মাস জাতির জীবনে আর আসেনি।
বঙ্গবন্ধু মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ না পেলেও যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশ পুনর্গঠনে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী দেশ ত্যাগ করে এবং মুক্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে। বিশ্বের ১০৪টি দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন এবং ইসলামী সংস্থার সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। তিনি শিল্প কারখানা, ব্যাংক-বিমা, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি জাতীয়করণ করেন। তিনি ১০ই অক্টোবর ১৯৭২ বিশ্ব শান্তি পুরস্কার ‘জুলিও কুরি’ পদক লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা করে বাংলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার চেষ্টা করেন। আত্মপরিচয়হীন জাতি খুঁজে পায় তার অস্তিত্ব ও আত্মমর্যাদা।
বাঙালি জাতির জীবনে মার্চ মাসের দিনগুলো উজ্জ্বল হয়ে থেকে যাবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে। এই মাসের কিছু দৈনন্দিন ডায়েরি আমি নতুন প্রজন্মের জন্য তুলে ধরতে চাই। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর এই কার্যক্রমগুলো ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে।
৮ মার্চ ১৯৭১: পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের নামকরণ শুধু ‘ছাত্রলীগ’ ঘোষণা করা হয় এবং স্বাধীণ বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
৯ই মার্চ ১৯৭১: এইদিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পল্টন ময়দানে ভাষন দেন। “ইয়াহিয়াকে তাই বলি, অনেক হইয়াছে আর নয়। তিক্ততা বাড়াইয়া আর লাভ নেই। ‘লাকুম দিনুকুম আলিয়াদ্বীন’ (তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার)-এর নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার স্বীকার করে নাও। শেখ মুজিবের নিদের্শমতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোনোকিছু করা না হলে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মিলিত হইয়া ১৯৫২ সালের ন্যায় তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলবো।” ভাসানী এদিন ১৪ দফা ঘোষণা করেন। বিভিন্ন আন্দোলন চলতে থাকে, প্রাণহানিও থেমে থাকেনি এ সময়।
১০ই মার্চ ১৯৭১: সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থার প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাজউদ্দিন আহমদ নির্দেশাবলি দেন।
১১ই মার্চ ১৯৭১: ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক স্বাধীন পূর্ব বাংলা কায়েমের সংগ্রামের আহ্বান। জনগণের প্রতি ছাত্র ইউনিয়নের যে আহ্বান ছিল:
-রাজনৈতিক প্রচার অব্যাহত রাখুন। গ্রাম অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে ইহা ছড়াইয়া দিন।
-সর্বত্র ‘সংগ্রাম কমিটি’ ও ‘গণবাহিনী’ গড়িয়া তুলুন।
- শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন।
- যেকোনো রূপ দাঙ্গা-হাঙ্গামা-উষ্কানি প্রতিরোধ করুন।
- শান্তি-শৃঙ্খলা নিজ উদ্যোগে বজায় রাখুন।
- এই সংগ্রামের সফলতার জন্য সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম শক্তির একতা গঠনের জোর আওয়াজ তুলুন।
১৩ই মার্চ ১৯৭১: আওয়ামী লীগের প্রতি জাতীয় পরিষদের সংখ্যালঘিষ্ট দলগুলোর সমর্থন।
১৫ই মার্চ ১৯৭১: শেখ মুজিবের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ইয়াহিয়া ঢাকায় আসে। কিন্তু একটি প্রেস কনফারেন্সে ভুট্টো ঘোষণা দেন- ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করবেন না’।
১৮ই মার্চ: অসহযোগ আন্দোলন ১৬ দিনে পদার্পণ করে। এই আন্দোলনের ঢেউ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে।
২০শে মার্চ: জয়দেবপুরের রাজবাড়ীতে অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়ন তাদের হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়। গ্রামের পর গ্রাম থেকে মানুষ এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সবাই মিলে টঙ্গী-জয়দেবপুর মোড়ে ব্যারিকেড গড়ে তোলে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য শামসুল হকের নেতৃত্বে।
২২শে মার্চ ১৯৭১: শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য বাঙলি সংগ্রামে গর্জে ওঠে। যতই দিন গড়াচ্ছিল, রাজনৈতিক সংকট ততই গভীরতর হচ্ছিল। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে একাত্তরের ২২শে মার্চের ঘটনাবলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সকালে ২৫শে মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে বলেন- পাকিস্তানের উভয় অংশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনাক্রমে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পরিবেশ সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২৫শে মার্চের অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলনের ২১তম দিবস ছিল ২২শে মার্চ। ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে মুখরিত হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে ছুটে যায়। সমবেত জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েকবার বক্তৃতা করেন। সংগ্রামী জনতার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন- ‘বন্দুক, কামান, মেশিনগান কোনোকিছুই জনগণের স্বাধীনতা রোধ করতে পারবে না।’
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাতে ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত এক বাণীতে বলেন- ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মিলেমিশে এক সঙ্গে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান এখন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত। গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পথে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। তবে আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকি, তাহলে কোনোকিছুই আমরা হারাব না।’
২৩শে মার্চ ১৯৭১: পাকিস্তানের জাতীয় দিবস আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে। ফলাফলবিহীন আলোচনা চলতে থাকে। সর্বত্র বাংলাদেশের নতুন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়।
২৫শে মার্চ ১৯৭১: আলোচনা ভেঙে যায়। ইয়াহিয়া ও ভুট্টো গোপনে পাকিস্তান চলে যায় এবং শেখ মুজিবকে বন্দি করে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়।
এসব বেদনাময় দিনের খতিয়ানগুলো সকলের মনে রাখা দরকার। আজ আমরা যে দেশে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি- সেই দেশটি খুব সহজে অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের আকাশের স্তরে স্তরে আজ অনেক আশার পায়রা উড়ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রেমিটেন্স, কৃষি ও পোশাক শিল্পে বিস্ময়কর উন্নতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এর সবই পজিটিভ দিক। এই অগ্রসরমান অবস্থা এগিয়ে নিতে হলে দেশকে ন্যায় ও শান্তির পথে পরিচালিত করতে হবে। রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণের আলোকবর্তিকা হিসেবেই রাখতে হবে। প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে- যারা এই দেশটির জন্য প্রাণ উৎসর্গ করে গিয়েছেন, তাদের ঋণ শোধ করার অন্যতম উপায় হলো দেশপ্রেম।ফকির ইলিয়াস: কলাম লেখক, কবি ও সাংবাদিক