ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কৌশিক হাসান পরশকে মারধর করে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাবি ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুলফিকার রহমানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগ নেতা জুলফিকারের বিরুদ্ধে র্যাগিং, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী কৌশিক হাসান পরশ।
এ বিষয়ে কৌশিক হাসান পরশ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তারা আমার পরিচয় পেয়েও আমার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে, আমাকে মারধর করেছে। এর বিচার চাই।’
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ মার্চ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আমি ও আমার বান্ধবী রিকশাযোগে দোয়েল চত্বরে যাচ্ছিলাম। রিকশা যখন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে আসে তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী জুলফিকার রহমান ও তার সাথে থাকা দুজন অজ্ঞাতনামা লোক আমাদের রিকশাকে থামাতে বলে। তারা আমাকে তাদের কাছে ডেকে রিকশায় জোরে হাসাহাসির অভিযোগ তুলে পরিচয় জিজ্ঞেস করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে জোরপূর্বক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে টিএসসি সংলগ্ন ৩ নম্বর গেটের দিকে নিয়ে যায়। পরে আমার মুখে ও কানে জোরে জোরে কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে থাকে। ঘুষির আঘাতে আমার নাক ফেটে যায়। আমার হাত থেকে ঘড়ি খুলে নিচে পড়ে গেলে জুলফিকার রহমান আমার বান্ধবীকে ধাক্কা দিয়ে ঘড়িটা নিয়ে নেয়। সে সময় আমি এবং আমার সাথে থাকা বান্ধবী তাদের কাছে ভুল স্বীকার করে চলে আসতে চাইলে আরও বেধড়ক মারধর করেন।
জিডিতে কৌশিক হাসান আরও উল্লেখ করেন, ‘মারধরের একপর্যায়ে আমি জুনিয়র নিয়ে কেন দাঁড়িয়ে আছি সেই অভিযোগ তুলে জুলফিকার রহমান ও তার সাথে থাকা ৭-৮ জন আমাদেরকে তৃতীয় দফায় মারধর করে। পরে আমার পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে নিয়ে নেয়। যেখানে আমার পরিচয়পত্র, নগদ সাত হাজার টাকা এবং হলের পরিচয়পত্রসহ অনেক মূল্যবান তথ্য ছিল।’
কৌশিক হাসান পরশ বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী এবং বিজয় একাত্তর হলে সাকিবুল সুজনের অধীনে রাজনীতি করে বলে জানা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জুলফিকার রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এএম/ইএস)