আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

আদালতে আত্মসমর্পণ করে পৃথক চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন। বুধবার এই আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মাহবুব আহমেদ। ট্রান্সকম গ্রুপের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা সম্পর্কে যথাক্রমে বাদীর মা, বোন এবং ভাগ্নে। অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তর ও বাদীর বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা চারটি করেছেন শাযরেহ।
বাদীর আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের কাছে এই আদেশে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের এ রকম জামিন দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। হাকিম আদালত থেকে হত্যা মামলায় জামিন পাওয়ার রেওয়াজ নাই।’
ট্রান্সকম গ্রুপের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানের ছোট বোন শাযরেহ হক। ওই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা পরে আদালত থেকে জামিন পান।
এরপর গুলশান থানায় ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেন শাযরেহ হক। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় নয় মাস আগে মারা যাওয়া তাদের ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এসব মামলায় বুধবার ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা জামিন পান। অন্য আসামিরা আগে জামিন পেয়েছেন।
এই চারটি মামলা করার সময় ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্তা বিদেশে ছিলেন। যাতে তারা কোনো ধরনের বাধা ছাড়া দেশে ফিরে আইনিভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, সে জন্য উচ্চ আদালতে পৃথক রিট আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাদের কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দেশে ফেরা এবং ফেরার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তা দেশে ফিরেই বুধবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন। এরপর তারা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ ও জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি নিয়ে আদালত চারটি মামলায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/কেএম)

মন্তব্য করুন