ঘটলো না অলৌকিক কিছু, না ফেরার দেশে অভিনেত্রী সীমানা

বাঁচানো গেল না ছোটপর্দার অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানাকে। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর চার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও শেষরক্ষা হলো না তার। এ জগতের মায়া ত্যাগ করে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সীমানাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ।
মারাত্মক অসুস্থ হয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে অজ্ঞান ছিলেন সীমানা। গত ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেদিন তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, সীমানার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য অভিনেত্রীকে ধানমন্ডির আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে সীমানাকে নেওয়া হয় আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। গত ২৭ মে সেখানে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তাতেও সুস্থ হননি সীমানা। অবশেষে তিন হাসপাতাল ঘুরে অভিনেত্রীর ঠাঁয় হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে। সেখান থেকেই চলে গেলেন আপন ঠিকানায়।
এর আগে গেল রবিবার চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সীমানার ছোট ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আপুর অবস্থা চূড়ান্ত খারাপ। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে আছি। ডাক্তাররা বলেছেন, ‘অলৌকিক কিছু ঘটলেই আপু সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে ডিভোর্সি ছিলেন অভিনেত্রী সীমানা। মৃত্যুর সময় তিনি দুই সন্তান রেখে গেছেন। বড় সন্তান শ্রেষ্ঠর বয়স আট বছর, আর ছোট সন্তান স্বর্গ তিন বছর বয়সি।
২০০৬ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন সীমানা। সেখান থেকে সুযোগ পান তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায়। সেখানে প্রশংসিত হয় সীমানার অভিনয়। পরে নাটকেও অভিনয় শুরু করেন।
তবে ২০১৬ সালে অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতিতে যান সীমানা। পরে জানা যায়, দুইবার মা হওয়ার জন্য তার এই বিরতি। সেই বিরতি ভেঙে গত বছর আবার ছোটপর্দায় অভিনয় শুরু করেন ‘কলেজ স্টুডেন্ট’ নাটকের সীমানা। কিন্তু তিনি আর কোনোদিনও দাঁড়াবেন না ক্যামেরার সামনে।
(ঢাকাটাইমস/০৪মে/এজে)

মন্তব্য করুন