ঢাকা টাইমসে সংবাদ প্রকাশ: মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন নগরকান্দার কুটি খাতুন

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২৪, ২২:০০| আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ২৩:০১
অ- অ+
প্রতিবেশির ঝুপড়ি ঘরে আশ্রিত কুটি খাতুনের খোঁজ নেন নগরকান্দার ইউএনও

ঢাকা টাইমসে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে নগরকান্দার সেই ৮৩ বছর বয়সি বৃদ্ধা কুটি খাতুনের। তার দুঃসহ জীবন-যাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সরকারি ঘর পাচ্ছেন তিনি। এর আগে সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় দুই বছর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ভিক্ষার জমানো ১৫ হাজার টাকা দিয়েও ঘর পাননি সহায় সম্বলহীন এই বৃদ্ধা।

কুটি খাতুনের অসহায় জীবন-যাপন ও চেয়ারম্যানের টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে গত ২ জুন ‘সরকারি ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ ইউপি চেয়ারম্যানের!শিরোনামে ঢাকা টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যা নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। এরপরই এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।

শনিবার কুটি খাতুনের সঙ্গে দেখা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে তাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নগরকান্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাফী বিন কবির ।

এদিন বিকালে কুটি খাতুনের খোঁজ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাফী বিন কবির। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কুটি খাতুনের অসহায় জীবন-যাপনের চিত্র সংবাদমাধ্যমে ওঠে আসার পর আমি তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেই। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে তাকে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি ও ঈদ উপলক্ষে দুটি শাড়ী উপহার দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে তার থাকার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’

এদিকে কুটি খাতুনকে যারা ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা।

কুটি খাতুনকে শাড়ি উপহার দেন ইউনএনও মো. কাফী বিন কবির

কুটি খাতুন উপজেলা চরযোশরদী ইউনিয়নের বড় শ্রীবরদী গ্রামের মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামীকে হারান কুটি খাতুন। দুই সন্তান দেখাশোনা না করায় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন-যাপন করছেন। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপড়ি ঘরে।

এমন অবস্থায় শেষ বয়সে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আর সেই স্বপ্ন পুরণের জন্য দুই বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফকিরের হাতে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই। এমনকি ফেরত পাননি টাকা। যদিও টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান।

(ঢাকাটাইমস/০৮জুন/প্রতিনিধি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা