অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে বড় জয় পেলো ইংল্যান্ড

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই বোঝা যাচ্ছিল, লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাস আটকিনসনের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেট সীমানায় ধরা পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ব্যাটার জেইডন সেলস। জয়টা গতকালই প্রায় নিশ্চিত ছিল ইংল্যান্ডের। তবুও ম্যাচ শেষে মাঠের সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছেন। অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই, এই অভিবাদনটা অ্যান্ডারসনের জন্য। ক্রিকেটকে প্রায় ২১ বছর দুই হাত ভরে দিয়ে যাওয়া এই খেলোয়াড়ের এটুকু তো প্রাপ্যই ছিল। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররাও অ্যান্ডারসনকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
ঐতিহাসিক লর্ডসে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন অ্যান্ডারসন। তাকে বিদায় দেয়ার কথা মাথায় রেখেই এই টেস্ট ম্যাচটি আয়োজন করা হয়েছে লর্ডসে। ক্রিকেটের তীর্থভূমি থেকে বিদায় নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নক্ষত্র। নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে করা ইংল্যান্ডের ৩৭১ রান দুই ইনিংস মিলেও টপকাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এমন দুর্দান্ত জয়ে পর্দা নামল অ্যান্ডারসনের ২১ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের।
জেমস অ্যান্ডারসন আগেই জানিয়েছিলেন, লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফোকাসটা তার দিকেই বেশি দর্শকদের। তবে পারফরম্যান্স দিয়ে আলাদাভাবে আলো কেড়ে নিলেন অভিষিক্ত গাস অ্যাটকিনসনও। অভিষেকেই ৪৫ রানে ৭ উইকেট শিকার করে রেকর্ড গড়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই পেসার। তার বোলিং নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১২১ রানেই থেমে গিয়েছিল।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৭১ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিক ইংলিশরা। দলকে বড় সংগ্রহ এনে জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথরা। পাঁচ জনই ফিফটি পেয়েছেন। তাদের ফিফটিতে ২৫০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। টপ অর্ডারের কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান। তখনই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ইংল্যান্ড।
আজ (শুক্রবার) টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডের অপেক্ষা ছিল আর কেবল ৪ উইকেটের। আবারও হুল ফোটালেন অ্যাটকিনসন। ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন ‘ম্যাচের অন্যতম নায়ক’ এই অ্যাটকিনসনই। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট তুলে নিলেন। সেই সঙ্গে অভিষেকে বেস্ট বোলিং ফিগারের সেরা তালিকাতেও ঢুকে গেলেন এই তরুণতুর্কি।
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে জ্বলে উঠেছেন অ্যান্ডারসনও। তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। টেস্টে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭০৪ উইকেট! এমন একটা সংখ্যার স্বপ্ন থাকে হয়তো বাকি সেরা পেসারদেরও!
(ঢাকাটাইমস/১২ জুলাই/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন