গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি চবির ৫৭ শিক্ষকের

চবি প্রতিনিধি. ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৬| আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৯
অ- অ+

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেপ্তারকৃত সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫৭ জন শিক্ষক।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানান তারা।

প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

পাশাপাশি বর্তমানে আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমনপীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন ছাত্র– ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল মাশনূন, নাট্যকলা বিভাগের সায়হাম মাহমুদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রমজান শেখকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া আরও কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন, তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সাথে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

পাশাপাশি আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সব হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সব হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/ গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রসহ দেশের সব নিরপরাধ শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য যে ৫৭ জন শিক্ষক দাবি জানিয়েছেন তারা হলেন– খ. আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ; ড. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ; ড. কাজী মুহম্মদ রাশেদ-নিজাম, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ; মুহাম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ; মোহাম্মদ জাহেদ, প্রভাষক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; সৈকত দাশ, প্রভাষক(ইংরেজি), আইন অনুষদ; আব্দুল মান্নান, প্রভাষক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট; ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; ড. মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ; ড. তাপস কুমার ভৌমিক, সহযোগী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ।

ড. মো. দিদারুল আলম চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, ফলিত রসায়ন এবং কেমিকৌশল বিভাগ; মৌরি ঢালী, সহকারী অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ফারুকী, সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং; ড. মো. আতিয়ার রহমান, অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; সায়মা আলম, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা; ড. সুনন্দা বৈদ্য, সহযোগী অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, প্রফেসর, ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ; ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী, প্রফেসর, ফাইন্যান্স বিভাগ; ড. শ্রাবন্তী সাহা, সহযোগী অধ্যাপক,বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; ড. আদনান মান্নান, অধ্যাপক, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি; ড. মো. আফতাব উদ্দিন, অধ্যাপক, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা।

ড. নঈম হাসান চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি; ড. সুমন মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি; এইচ এম কামরুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ; সাঈদ, প্রভাষক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ; নুসরাত ইয়াছমিন পুষ্প, সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক; শামীম নূর (শিক্ষা ছুটি), সহযোগী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ; ড. মো. ইমাম হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ; ড. মুহাম্মাদ তারিকুল হাসান চৌধুরী, প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ; মো. শহীদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ;.ড. খাদিজা মিতু, প্রফেসর, নৃবিজ্ঞান বিভাগ; মো. শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ; যাকীয়াহ্ তাসনিম, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ। গোলাম হোসেন হাবীব, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ; মো. মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক, লোকপ্রশাসন বিভাগ; ড. জান্নাতুল আকলিমা, সহযোগী অধ্যাপক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ।

মো. মহিউদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ; মুনমুন নেছ চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ; মো. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ; ড. ইকবাল আহমেদ, প্রফেসর, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; ড. শাহাদাত হোছাইন, প্রফেসর, ফাইন্যান্স বিভাগ; নাজমা জাহান সরকার, প্রভাষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ; ড. লুলু ওয়াল মরজান, প্রফেসর, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ: রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা বিভাগ; এ. জি এম নিয়াজ উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ; ড. মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ মহিব, সহযোগী অধ্যাপক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ড. ফুয়াদ হাসান, প্রফেসর, মার্কেটিং বিভাগ; ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, প্রফেসর, রসায়ন বিভাগ; ফারজানা করিম, সহযোগী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ; ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, প্রফেসর,অর্থনীতি বিভাগ; ড. সালমা বিনতে শফিক, প্রফেসর,ইতিহাস বিভাগ; ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, প্রফেসর, ওশোনোগ্রাফি বিভাগ; আসমা বিনতে হক, প্রফেসর, আইন বিভাগ; ড. তানিম জাবিদ হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ; ড. মোহাম্মদ হারিসুর রহমান হাওলাদার, অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ; ড. মো. কামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি; ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, প্রফেসর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাকিস্তানে ভারতের হামলায় নিহতের সংখ্যা কত? যা জানালো সেনাবাহিনী
ভারতীয় সেনারা সীমান্তে ‘সাদা পতাকা’ উড়িয়ে পালালো
কুবির বিজয়-২৪ হলে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে দাম কমে গেল ভারতীয় রুপির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা