‘হাতীবান্ধা সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলা হয়নি, গুজব’

লালমনিরহাটে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো ধরনের হামলা হয়নি, এটি একটি গুজব, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন।
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগ অফিস, দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় হিন্দুবাড়িতে হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেক হিন্দু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়।
মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল এই গুজব ছড়ায়। ফলে সীমান্তে ঢল নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের।
যেহেতু কোনো হামলা হয়নি, তাই তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে মেজর জুলকার নাঈন আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (হিন্দু পরিবার) আশ্বস্ত করেছি যে তাদের ওপর কোনো হামলা হবে না। নিজ নিজ বাসাবাড়িতে থাকুন। আমাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখলে নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে।’ বিজিবি ও বিওপিগুলোর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সীমান্ত এলাকার কোনো ধর্মাবলম্বীর ওপর কোনো ধরনের আঘাত আসেনি বলে দাবি করেন তিনি।
তিস্তা ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ‘দেশে কোনো সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মের যারা রয়েছে, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের অভিন্ন পরিচয় থাকা উচিত। তাই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।’তিনি পুলিশ প্রশাসনকেও সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজার রহমানসহ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/মোআ)

মন্তব্য করুন