আবাহনী-শেখ জামালের পর ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে ফর্টিস এফসি ক্লাবেও

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলা-লুটপাট হয়েছে দেশের অনেক জায়গায়। একই কারণে ক্রীড়াঙ্গনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী ও শেখ জামালের কার্যালয়ে। বাদ যায়নি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব ফর্টিস এফসিও। গত সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে ক্লাবের পূর্বাচলে অবস্থিত ক্লাবটির হোম ভেন্যুতেও ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালানো হয়।
ফর্টিস এফসির ফুটবল দলের ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ট্রেনিং কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমি দেশের বাইরে ছিলাম। শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরে আজ (শনিবার) মাঠে গিয়ে দেখি সবকিছু চুরমার করে দেওয়া হয়েছে।’
সাবেক এই ফুটবলার জানান, এটা মূলত ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড। এখানে একটি ড্রেসিং রুম এবং মাঠ পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। যেমন– মাঠ সংস্কারের ট্রাক, পে লোডার ও রোলার মেশিন। সবকিছুই ধ্বংস করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ড্রেসিং রুমও ভাঙচুর করা হয়েছে।
ধ্বংসলীলার শিকার হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্য দুই ক্লাব আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব বিষয়টি অবহিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।
ফর্টিস ক্লাব বাফুফেকে জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে এখন যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছেন। কাউকে কিছু অবহিত করা প্রয়োজন, তা ভাবার মতো অবস্থায়ও ছিল না। এখন আমি বাফুফেকে বিষয়টি জানাবো। কারণ দলবদল চলছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি।’
এর আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই আবাহনী ক্লাবে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী শেখ কামালের হাতে গড়া। হামলায় ট্রফি ভাঙচুর এবং প্রশাসনিক কক্ষের আসবাবপত্র ও কাগজপত্রের সব কিছুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লাব সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া একই সময়ে ভাঙচুর চলেছে ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ জামাল এবং কলাবাগান ক্লাবেও।
(ঢাকাটাইমস/১০ আগস্ট/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন