রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাফিউল আলমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্কুলের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের শিক্ষক-অভিভাবকরাও এ আন্দোলনে অংশ নেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এসময় প্রিন্সিপালের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন তারা।
এসময় স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসান আদিব বলে, দীর্ঘদিন যাবৎ বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্বে রয়েছেন কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনে কোন সফলতার পরিচয় দিতে পারেন নি। পূর্ববর্তী সময়ে আমাদের স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস হতো সেটাও এখন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবক এবং শিক্ষকদেরও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন তিনি। তিনি একজন অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। এমন কাউকে আমরা প্রাধ্যক্ষ হিসাবে দেখতে চাই না। যতদ্রুত সম্ভব তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এছাড়াও কানিজ ফাতেমা নামের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে আসছেন। স্কুলের বেতন রশিদ নিতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। তিনি আমাদের যোগ্য মর্যাদা দেয়নি। বিভিন্ন কম্পিটিশনে আমি অংশগ্রহণ করেছি কিন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ যাবতীয় কাজে তিনি কোন ভূমিকা রাখেননি। পাশাপাশি তিনি সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।’
কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়ালিউল কবির বলেন, ‘আমরা যখন স্কুলে ছিলাম তখনো তার দুর্নীতি কথা বলেছি যদিও কোন কাজে আসেনি। তবে এখন সময় এসেছে সোচ্চার হওয়ার। দীর্ঘ ১০ বছর পরেও এ অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি বরং নৈরাজ্য আরও বেড়েছে। ফলে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমরা সাবেকরাও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। প্রিন্সিপালকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’
কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান প্রিন্সিপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শুধু দুর্নীতি করেছে যার ফলে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষকরাও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। উনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে আর্থিক বিষয়ে অনিয়ম করেছেন এবং অনেকের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। শিক্ষকদেরকে কখনো মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি, শিক্ষকদের গলা চেপে ধরে তাদের জোরজবরদস্তি করে কাজ আদায় করে নিয়েছেন। আমাদের এক দফা দাবি তাকে পদত্যাগ করতেই হবে না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান-সাবেক প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকা টাইমস/১৪আগস্ট/এসএ)

মন্তব্য করুন