সালমান, আনিসুল, দীপু মনি ও জিয়াউলকে আরেক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৬:২০| আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১০
অ- অ+

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে লালবাগ থানার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া এ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ডের শুনানি হবে।

এর আগে দুজন নিহতের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হওয়া মামলায় সালমান এফ রহমান আনিসুল হককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দীপু মনিকে চার দিন এবং নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় জিয়াউল আহসানকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ডিএমপির গোয়ান্দা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এজন্য শনিবার তাদের আদালতে তুলে আবারও রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে। পরদিন ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় নিউমার্কেট থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। পরে আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২০ আগস্ট বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া আয়নাঘর, সাত খুন, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের জেরার মুখে আছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।

আদালতে শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ খান বলেন, জিয়াউল আহসান ২০১২ সালের পর থেকে এক যুগ ধরে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ গুমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি আয়নাঘরের জনক। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ক্রীড়নক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে গত আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একের পর এক মামলা হতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পটুয়াখালীতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবসায়িক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত
হাতিরঝিলে পেশাদার মাদক কারবারিসহ ১১ জন গ্রেপ্তার
সারা দেশে বাড়বে তাপমাত্রা, আট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির আভাস
ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস, সাত অঞ্চলের নদী বন্দরে সতর্কতা সংকেত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা