শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করতে হবে

বঙ্গ রাখাল
  প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩০
অ- অ+

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। একটা জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেন শিক্ষক। যে কারণে নেপোলিয়ান বলেছিলেন- ‘আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ এই শিক্ষিত জাতি গঠনে মায়ের ভূমিকার শেষ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড়ো শিক্ষক হলো মা। পরিবার থেকেই সন্তানেরা জীবনের বড়ো শিক্ষা পেয়ে থাকেন। আজ আমরা যে টমাস আলভা এডিশনকে বিজ্ঞানী হিসেবে চিনি- সেও একদিন মেধাহীনতার কারণে স্কুল থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি এতবড়ো বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন। মায়ের ভূমিকা সন্তানের মনন গঠনের জন্য যেমন প্রয়োজন, একজন শিক্ষকের ভূমিকাও সেখানে কম নয়। শিক্ষকই পারেন তার শিক্ষার্থীদের নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের শিক্ষকগণ এক সময় ছিলেন আদর্শের বাতিঘর ও আলোর ফেরিওয়ালা। কিন্তু বর্তমানের অনৈতিক এবং রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে রাজনীতির রাজত্ব গড়ে তোলেন শিক্ষকরা। তাদের নীতি-নৈতিকতার কোনো বালাই নেই। এই রাজনীতির কারণেই মেধাহীন শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বনে যাচ্ছেন। মেধাবী শিক্ষার্থীরা এইসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার আমরা বুলি আওড়াচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আদর্শিক শিক্ষকের বড়োই অভাব।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে হরহামেশাই চলে রাজনীতি- এই রাজনীতির কারণেই আমরা আজ আর আমাদের সেই আদর্শিক শিক্ষক পাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরাও দলে দলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক দলে। এবার জুলাইয়ে যে দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হলো তা অকল্পনীয়। এর আগে কোনোদিন এভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকে কাউকে গুলিবর্ষণ করতে দেখিনি আমরা। কোথা থেকে আসবে আদর্শবান শিক্ষক; কোনো শিক্ষককে এই গুলি ছোঁড়া নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে দেখলাম না আমরা। যে শিক্ষক এক সময় বলতো আমার শিক্ষার্থীদের গায়ে যেন কোনো গুলি না ছোঁড়া হয়; আমার শিক্ষার্থীদের ওপর যাতে কোনো অত্যাচার না করা হয়- এখন কোথায় সেই সব আদর্শ শিক্ষক। অথচ এত শিক্ষার্থীকে গুলি করা হলে, তাদের মেরে ফেলা হলো, এই অবস্থায়ও দলকানা শিক্ষকরা নীরব ভূমিকায় আসীন থাকতে পারলো।

এতো গেল সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তো কোনো কথাই নেই। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছামতো প্রশাসন চালান। যখন যাকে খুশি চাকুরিচ্যুত করেন আবার যখন যাকে খুশি চাকুরিতে আনয়ন করেন, ইচ্ছেমতো প্রমোশন দিয়ে পদায়ন করেন। কিছুদিন ধরে একটা পোস্টই আমার চোখের সামনে ভাসছে- সেটা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কথা। অভিযোগ রয়েছে, অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথেও তিনি জড়িত। জানা যায়, নিজের অনুগত অনেক লোক রয়েছে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। নিজের এলাকার লোক নিয়োগসহ আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের কবজাগত করার। যা আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার বদৌলতেও জানতে পেরেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা নোটিশে কত শিক্ষককে যে চাকুরিচ্যুত হতে হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এছাড়াও অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির কাজের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এতো বললাম বেসরকারি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কথা। এরকম হরহামেশাই দেশের অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও চলছে এমন কাজ। বিভাগগুলোতে নামেমাত্র শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো হচ্ছে। নেই কোনো অধ্যাপক- জুনিয়রদের দিয়ে বিভাগ চালানো হচ্ছে। আবার স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে অনেক তরুণকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে চালিয়ে নেন বিভাগের কাজ। কেননা কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য থাকে অর্থের দিকে, শিক্ষা নয়। দু-একটা বিশ্ববিদ্যালয় যে অর্থের চেয়ে শিক্ষাকেই প্রধান লক্ষ্য করে তোলেনি, তা কিন্তু নয়। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম তুলনামূলক অনেক ভালোভাবেই চলছে। সেখানে শিক্ষা ও গবেষণার কাজটি প্রায় সমান গতিতেই এগিয়ে নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এবার আসি আমি যে বিভাগে পড়েছি সেই বিভাগের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা পাঠকদের সাথে ভাগ করে নিতে। আমারে মতে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আধুনিকমানের কোনো সিলেবাস দ্বারা ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয় না। তাদের দিয়ে কিছু গবেষণার কাজ করানো হলেও তা গবেষণার কাজ হয়েছে বলে মনে করা যাবে না কিছুতেই। কেননা সেখানে টিকা-টিপ্পনী এবং নেট ঘেটে-ঘেটে তথ্য হাজির করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক কোনো লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে কোনো সেমিনার, আলোচনা সভা করানো হয় না। প্রকাশিত হয় না কোনো পত্রিকা বা জার্নাল। বলা যায়, অনিয়মিতভাবেও কোনো পত্রিকা বা জার্নাল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশিত হয় না। এই বিভাগের কোনো শিক্ষক লেখালিখির সাথে জড়িত আছে বলেও মনে হয় না। লেখালিখির কথা এই কারণে বলছি কারণ তারা লেখালিখি করলে সমসাময়িক কিছু খোঁজ খবর অন্তত রাখতে পারতেন। সেটার চর্চাও তারা করেন না। যে কারণে জনৈক এক শিক্ষককে ছাত্রের কাছে জানতে চাইতে হয়- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মরে গেছেন না বেঁচে আছেন। এই লজ্জা কোথায় রাখি। একজন শিক্ষকের মুখ থেকে কী বের হলো তাও তিনি আবার বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক। এই শিক্ষক কী শিক্ষা দিবেন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের তারা ধ্বংসই করে যাচ্ছেন বলা যায়।

আসলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আসল নামটা কী? কখনও বলা হয় বিভাগের নাম ‘বাংলা বিভাগ’, আবার কখনো বলা হয় ‘ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগ’। মনসুর মুসা স্যার এই বিভাগে আসার পর দুটোই লেখা ছিল বিভাগীয় প্রধানের দরজার সামনে এবং উপরে। তাতে মনে হয় মনসুর মুসা স্যার দুটো বিভাগেরই বিভাগীয় প্রধান। আমরা জানি, তিনি খুব পণ্ডিত মানুষ। কিন্তু তিনি যখন ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতেন ছাত্রছাত্রীরা তার কোনো কথাই বুঝতে পারতেন না। তিনি কী বলছেন, বেশিরভাগ সময়ই তা শুনতেই পাওয়া যেত না। মনসুর মুসা স্যার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে হোক কিংবা শিক্ষক হিসেবেই হোক শিক্ষার্থীদের তিনি হতাশই করেছেন। অন্তত আমার অভিজ্ঞতায় আমি যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে এই কথাটিই বলবো। অনেকেই অভিযোগ করেছেন- তাঁর কাছে কোনো কাজে সহযোগিতা পায়নি কেউ। বাংলা বিভাগের নামটা যেমন বিভ্রান্তিতে ভরা, তেমনি এই বিভাগের অন্য সব কাজও বিভ্রান্তিপূর্ণ। মুসা স্যার বিভাগীয় প্রধান হয়ে আসার আগে যখন আমরা এই বিভাগে পড়াশোনা করেছি, তখনো নানা রকম অনিয়ম দেখেছি।

এর আগে এই বিভাগেরই জনৈক ছাত্র গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে কয়েকটি খবর প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেইসব অনিয়মেরও কোনো প্রতিকার হয়নি। সেই শিক্ষার্থী তৎসময়ের রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছিল। জানা যায়, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কজন ভালো শিক্ষক ছিলেন তারাও এখন আর নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছেন। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মনসুর মুসা স্যার দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভাগের সবকিছু তিনি চাইলে পরিবর্তন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। আমি মনে করি, শিক্ষকের বৈশিষ্ট্যে যদি সৃষ্টিশীলতা না থাকে- তাহলে সেই শিক্ষক আমাদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারেন না।

শিক্ষকরা ইচ্ছে করলেই পারেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে। এই বাংলা বিভাগ এখনো হতে পারে শিক্ষার্থীদের অতি আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে। আমি মনে করি, প্রতিটি বিভাগকে হতে হয় শিক্ষাবান্ধব। একটি বিভাগে যদি পাঠসুচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না হয়ে নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিভাগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ক্ষতি সাধন করা হয়, সেটা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

এই বিভাগের শিক্ষক আবেদা আফরোজা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি বিভাগের কল্যাণকর অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর প্রয়াত হবার পরেও বিভাগ ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রেখেছে। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার বইগুলো নিয়ে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণার কাজ বা প্রবন্ধ সংকলনের উপর আলোচনা প্রকাশ হতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি- উলটো তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো হয়েছে। স্বপ্নের মানুষ জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র নামে একটা আর্কাইভ করা হয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা জানি, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময়ের জন্যই সকলের প্রিয় এবং দেশবরেণ্য একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর নামে যে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই প্রকল্পের যিনি পরিচালক তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যিনি এই বিশ্ববিদ্যলয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন, যিনি এ ধরনের বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এই দেশে, যেগুলো নিরলসভাবে মানব কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে- তাকে নিয়ে গবেষণা এবং তাঁর কাজের সঠিক মূল্যায়ন যাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠন করতে চাইলে দরকার সৎ, দক্ষ ও সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক মানুষ। যারা সব জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষকরা সৎ থাকলে পরিবর্তন হবে সমাজ ও দেশের সর্বত্র। কারণ তাদের সামনে উপস্থিত থাকে সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু কবে আসবেন সেই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক শিক্ষক, যিনি সবাইকে সাথে নিয়ে ছুটবেন পরিবর্তনের দিকে। আর নৈতিকতায় হয়ে উঠবেন আদর্শের মূর্তপ্রতীক। আত্মবিশ্বাসে নিজের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে দিবেন সামনের দিকে। যে শিক্ষার্থীরা গর্বে বুক ফুলিয়ে বলবেন, আমি অমুক স্যারের ছাত্র।

আসলে চাটুকারিতা-তৈলমর্দন করে টিকে থাকার রেওয়াজ বন্ধ হলেই বাড়বে ব্যক্তি মানুষের মূল্যায়ন। যোগ্যতায় নিজেকে বিকশিত করতে হবে। খোলসের অন্তরালে যেন কেঁদে না মরে বিবেক। এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সত্যিকারের মানুষ গড়ে ওঠে না। গড়ে ওঠে গ্রুপিংবাজ রাজনৈতিক দল। কে কত লুটতরাজ চালাতে পারেন। এই সবুজে ঘেরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ও পালটে দিতে পারে শিক্ষার্থীদের মন ও শিক্ষার পরিবেশ। হোক না তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবুও মনীষী ডা. জাফরুল্লাহর স্বপ্ন প্রতি এলাকায় পৌঁছে যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শিক শিক্ষক ও এর শিক্ষার্থীদের দ্বারা। ডা. জাফরুল্লাহ চাইতেন শিক্ষার্থীরা মেধাবী হয়ে ওঠুক। এখনও সময় আছে কর্তৃপক্ষ সুনজর দিলে আবারো মাথা তুলে দাঁড়াবে বিভাগগুলো- তবে তার আগে জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করতে হবে। ক্ষমতার লোভ ও অর্থলোভ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।

বঙ্গ রাখাল: কলাম লেখক, কবি ও প্রাবন্ধিক

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে: তারেক রহমান
শেখ পরিবারের ৫ সদস্যের জমি-বাড়ি ক্রোক, রিসিভার নিয়োগের আদেশ
ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের চার যুদ্ধবিমান
নিজের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচার চাইলেন রাশেদ খান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা