বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে সবাইকে

ড. আনোয়ার হোসেন
  প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৪| আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৮
অ- অ+

পানি কিছুটা নামতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির এখনো আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। দেশের ১২ জেলার মানুষ এখনো নজিরবিহীন বন্যায় ভারাক্রান্ত। এরকম বন্যার প্রকোপ ও পানির তাণ্ডব এখনো পর্যন্ত আমি সচক্ষে দেখিনি। যারা বন্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, তাদের অনেকে বলেছেন যে- ১৯২২ সালে অর্থাৎ প্রায় ১০২ বছর পূর্বে এরকম বন্যা একবার হয়েছিল। অতি বৃষ্টিতে ও ভারতীয় উজান থেকে ধেয়ে আসা পানিতে এই ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এখন একেবারে বিপর্যন্ত। বন্যায় সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে। এছাড়া নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, বাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। এই জেলাগুলোতে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি। বন্যার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না গৃহপালিত প্রাণীকুলও। বন্যায় দেশের ১২ জেলার ৮০টিরও বেশি উপজেলা ও ৫৮৪টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ লক্ষেরও বেশি। এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র দুই লাখের কিছু বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পেরেছেন।

এই বন্যায় অনেকেই ভারতকে দায়ী করছেন। বলা হচ্ছে ভারত ষড়যন্ত্র করে পানি ছেড়ে দিয়ে এই বন্যার সৃষ্টি করেছে। অনেকে আবার বলছেন এটা রাজনেতিক বন্যা যা ভারত দ্বারা সৃষ্ট। বাংলাদেশের একজন পানি বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন ড. আইনুন নিশাত, তিনি বলেছেন এ বন্যা প্রাকৃতিকভাবেই হয়েছে অতিবৃষ্টির কারণে। এ কথা বলার কারণে তাকে গালিগালাজ ও রাজাকার আলবদরসহ অনেক খিস্তি-খেউরও শুনতে হচ্ছে। তবে এটা সত্যি যে-বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হতে অদ্যাবধি ভারত বর্ষাকালে নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশকে পানি দিয়ে তলিয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে সব পানি আটকে দিয়ে বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল ও ফসলি জমিকে চৌচির ও ধু-ধু বালুকাময় করে দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ভারত কমপক্ষে দুইটি বাঁধ খুলে দেওয়াতে এই বন্যা আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। আমি মনে করি, এ বন্যাকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলাটাই স্বাভাবিক। অন্য কারণ হলো- সময়মতো আমরা তিস্তার পানি পাচ্ছি না। ফারাক্কার বাঁধসহ অভিন্ন নদীর উজানে তারা অন্যায়ভাবে বাঁধ নির্মাণ করে রেখেছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন। ভারত কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না করে প্রায়শ অভিন্ন নদীর সুইচগেইটগুলো খুলে দেয়। যা থেকে বাংলাদেশ হঠাৎ করে প্লাবিত হয় এবং অমানবিক এক অবস্থার মধ্যে নিপতিত হয়। বর্তমানের এই ক্রান্তিলগ্নে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবশ্রেণি পেশার মানুষ অর্থ খাবার ও আনুষাঙ্গিক উপকরণাদি নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর দিকে ছুটছে। বাদ যাচ্ছে না শিশু পর্যন্তও। শিশুরাও তাদের জমানো অর্থ বন্যার্তদের জন্য দান করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল অনেক ভিক্ষুকও তাদের থালা হতে বন্যার্তদের জন্য ১০ টাকা হলেও দান করছেন। এমন ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকরাও। যে মানুষ জীবনে কোনোদিন একজন অন্ধব্যক্তিকেও দান করতে পকেটে হাত দেন নাই, তিনিও অকাতরে দান করছেন এই বন্যাদুর্গতদের জন্য।

দলমত নির্বিশেষে পুরো জাতি একছাতার নিচে যেন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এখন। এর মাধ্যমে হয়তো আমাদের জাতিগত ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। সকল ধর্ম-বর্ণ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে আমরা যেন এক অপরের অভিন্ন সত্তা হয়ে ওঠেছি। এই বন্যায় আমাদের একে অপরের প্রতি যে সহমর্মিতা ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে, এ জাতিগত ঐক্য ধরে রাখতে পারলে পরবর্তীতে যেকোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হব বলে বিশ্বাস করি। এ ঐক্য ধরে রাখতে পারলে করোনা মহামারি হতে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতেও হয়তো বেশি সময় লাগবে না।

নজিরবিহীন বন্যায় গত কয়েকদিনে আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা সবিনয়ে পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরছি এখানে। গত ২২শে আগস্ট এক ভদ্রলোক নোয়াখালী সদর হতে কল করে জানালেন গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে আমার ঘরে পানি। বিদ্যুৎ নাই, রান্নাঘর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় শুকনো খাবার খেয়ে কোনোরকম দিনাতিপাত করছি। তিনি আরো জানান তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে পায়ে জীবাণুযুক্ত পানির কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। সব পানি মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ায় পুরো শরীরেও চুলকানি দেখা দিয়েছে। একইদিন আরেক ভদ্রলোক কল করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন- তিনি ৬ লক্ষ টাকা ইনভেষ্ট করে মৎস প্রজেক্ট করেছেন। সবগুলো প্রজেক্টই ভেসে গেছে। তিনি কীভাবে এখন ঋণ শোধ করবেন, এ নিয়ে তার চিন্তার অন্ত নেই। একই দিনে আরেক ভদ্রলোক জানান- বন্যায় তার ঘরে হাঁটু পরিমাণ পানি। তার গরুছাগলের খামার রয়েছে। ছাগলগুলি প্রায় পানিতে ভাসছে, গরুগুলোর শরীরও পানিতে অর্ধেক ডুবন্ত। দোকানপাট বন্ধ থাকায় তীব্র খো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। তার গবাদি পশুগুলোকে তিনি বাঁচাতে পারবেন কি না সন্দিহান রয়েছেন তিনি। আমার আরেক আত্মীয় একইদিন ফোনে জানান- তিনদিন পূর্বে তার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তাকেও শারীরিকভাবে আঘাত করেছে। নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার আমার আরেক আত্মীয় আমাকে জানান, তিনি বন্যার কারণে মৎস খামার খুইয়েছেন। গবাদি পশুগুলো নিয়েও খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অন্যদিকে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর দৃর্বৃত্তরা স্থানীয় বাজারে তাকে খুঁজছেন, তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

এবার অন্য একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোকপাত করছি। সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো সদ্য সাবেক সরকারের সহযোগীদের দেশ হতে পালিয়ে যাওয়া ও গ্রেফতার হয়ে আদালতে হাজির করানোর বিষয়। বাংলাদেশ হতে পালাতে গিয়ে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পান্না নিহত হয়েছেন। অনেক চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীও দেশ হতে পালিয়ে যাচ্ছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম সামছুদ্দীন চৌধুরী মানিক আটক হয়েছেন। রাষ্ট্রের শীর্ষপর্যায়ে কর্মে নিয়োজিত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এ সাবেক বিচারপতি আমার জানামতে টেলিভিশন টকশোতে সবচেয়ে নিম্নমানের কথা বলা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি যে কাউকে রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের বংশধর না বললে যেন তার জাত বাঁচতো না। তিনি টকশোতে উপস্থাপিকাকেও রাজাকারের বাচ্চা বলে আক্রমণ করতে দ্বিধা করেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদেরকেও রাজাকারের বংশধর বলে গালি দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে আমার প্রশ্ন হলো- এই নিচুমানের কথা বলা মানুষের উপর আদালত চত্বরে আক্রমণকারীরাই-বা কোন মানের? আদালতে যখন এ ধরনের ব্যক্তিদের উপর আক্রমণ হয় সংবাদপত্রে আমরা দেখি আক্রমণকারী, ত্রাস সৃষ্টিকারী ও জঘন্য সন্ত্রাসীদেরকে কখনো বিক্ষুদ্ধ জনতা, আবার কখনো জনরোষ বলা হয়। আদালত চত্বর কি এসব করার জায়গা? এসব হলে দেশে আইনের শাসন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ এসব যারা করছেন তাদের কাউকে গ্রেফতার হতে আমরা এখনো দেখিনি।

আদালত চত্বরে এ ধরনের আক্রমণ চলমান থাকলে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। যা কোনো সুবিবেচক ব্যক্তির কাম্য হতে পারে না। সদ্য সাবেক সরকারের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন রাজনীতিবিদ এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যকেও আদালত চত্বরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। যা কখনো ভালো দৃষ্টান্ত হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

এবার শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে অবতারণা করছি। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষ শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখ, জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা যথা সময়ে হয়েছে, ১৮ই জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৪শে জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। মাঝখানে সরকার পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটে। সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে পরীক্ষাগুলোর তারিখ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সম্প্রতি নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয় আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর। কিন্তু এর মধ্যে একদল শিক্ষার্থী স্থগিত পরীক্ষাগুলি বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ২০শে আগষ্ট সচিবালয়ের ভবনের নিচে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। এর আগে ঐদিন দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক নম্বরে হবে এবং পরীক্ষার তারিখ ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে আরো ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। কিন্তু সবিচালয়ে যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করছিল, তারা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মুখে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রায় বাধ্য হয়ে পরীক্ষাগুলো বাতিল ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যুক্তি হলো, সাম্প্রতিক ছাত্রজনতার আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এখনো কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি। তারা মানসিক চাপে আছে। মোটকথা পরীক্ষায় বসার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় তারা কেউ নেই। তাদের দাবি অনেকটাই যুক্তিসংগত।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণেও এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তখন পূর্ববর্তী পরীক্ষার গড় মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বড়ো একটি অংশ পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো নম্বর কমিয়ে আনার প্রস্তাবটি অধিক যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ করে ও ১০০ নম্বরের মধ্যে বিষয়গত জিপিএ নির্ধারণ করা যেতে পারে। আমার বিশ^াস অধিকাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে। একটু দেরিতে পরীক্ষার ফলাফল আসলেও খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলে অনেক দায় ও বিশৃঙ্খলা থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মুক্ত থাকতে পারবে বলে মনে করি। শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জরিপ করে পক্ষে-বিপক্ষের সংখ্যা নির্ণয় করেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

ড. আনোয়ার হোসেন: কলাম লেখক ও প্রতিভা এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-এর চেয়ারম্যান

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দুপুরে চিন্ময়ের জামিন, সন্ধ্যায় স্থগিত চেম্বার আদালতে
গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে: তারেক রহমান
শেখ পরিবারের ৫ সদস্যের জমি-বাড়ি ক্রোক, রিসিভার নিয়োগের আদেশ
ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের চার যুদ্ধবিমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা