প্রথমবার টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের পেস বোলাররা

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২১
অ- অ+

ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনারদের জন্য পরিচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্পিন আক্রমণ দিয়েই প্রতিপক্ষকে আটকানোর চেষ্টা করতো বাংলাদেশ। তবে এবার বাংলাদেশ দলের পেসাররা এবার গড়লেন অনন্য কীর্তি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সবক’টি উইকেট নিলেন তিন পেসার হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে আগুনঝরা বোলিং করেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া নাহিদ রানা চারটি এবং তাসকিন আহমেদ একটি উইকেট শিকার করেছেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হারানো ১০ উইকেটই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার। এই প্রথম টেস্টের কোনো ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসাররা।

এর আগে বাংলাদেশের পেসাররা চারবার প্রতিপক্ষের কোনো ইনিংসে ৯ উইকেট ভাগাভাগি করলেও এবারই প্রথম ১০টি উইকেটই শিকার করেছেন। ২০০০-০১ মৌসুমে বুলাওয়ে টেস্টে জিম্বাবুয়ের প্রথম ও একমাত্র ইনিংসে ৯ উইকেট ভাগাভাগি তিন বাংলাদেশি পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত, মঞ্জুরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ শরিফ। জিম্বাবুয়ে সেই ইনিংসে ৪৫৭ রানে অলআউট হয়। মঞ্জুরুল ইসলাম ৬ উইকেট শিকার করেন। হাসিবুল ২টি এবং মোহাম্মদ শরিফ ১টি উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি নেন স্পিনার নাইমুর রহমান। সেই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংস এবং ৩২ রানে হারে।

২০০১-০২ মৌসুমে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান চার পেসার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শরিফ এবং খালেদ মাহমুদ। মাশরাফী ও শরিফ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। ২টি উইকেট শিকার করেন মঞ্জুরুল এবং বাকি উইকেটটি যায় খালেদ মাহমুদের ঝুলিতে। নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে ৩৬৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ সেই টেস্টেও ইনিংস এবং ৫২ রানে হারে।

তৃতীয় কীর্তিটি ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কলম্বোয় সেই টেস্টটিও বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হারে। সেবার শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৪৫৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। এই ৯ উইকেট ভাগাভাগি নেন তিন পেসার সৈয়দ রাসেল (৪), শাহাদাত হোসেন (৪) এবং আফতাব আহমেদ (১)।

শেষবার পেসারদের ৯ উইকেট শিকারের ঘটনাটি অবশ্য বেশ টাটকা। আগের তিনবার ইনিংস হারের লজ্জায় পড়তে হলেও এই ম্যাচটায় এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২১-২২ মৌসুমে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের টেস্ট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই পেসার এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ আগুন ঝরিয়েছিলেন। এবাদত ৬ উইকেট ও তাসকিন ৩ উইকেট শিকার করেন। তাতে ১৬৯ রানে অলআউট হয় কিউইরা। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক জয়ে মিরাজ বাকি উইকেটটি শিকার করে অবদান রাখেন।

এছাড়াও বাংলাদেশি পেসারদের চারবার ৮ উইকেট এবং ৭বার ৭ উইকেট শিকারের ঘটনা আছে।

(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আজ দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন নেতাকর্মীরা
হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা
প্যাথলজিক্যাল নমুনা বিদেশে পাঠাতে অনুমতি লাগবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
বেইলি রোডে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে যা জানা গেল 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা