নির্বাহী ক্ষমতায় যা করতে পারবে সেনাবাহিনী
রাজধানীসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। জনমনে কৌতুহল আছে এই নির্বাহী ক্ষমতা বলে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারবে সেনাবাহিনী।
যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী
বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬টি ধারায় সেনা কর্মকর্তারা তাদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির এসব ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন থেকে সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেপ্তার করতে পারবেন, দিতে পারবেন জামিনও।
বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবেন সেনাকর্মকর্তারা। বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি করতে পারবে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় আটকে মিছিল সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে সেনা কর্মকর্তারা বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন। একই সঙ্গে এটি বন্ধে বেসামরিক বাহিনীকেও ব্যবহার করতে পারবে সেনাবাহিনী। এছাড়াও স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আদেশ জারি করতে পারবে, আটক করতে পারবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল এতদিন। এবার পেল নির্বাহী ক্ষমতা।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/কেএম)