ভৈরবে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৮ | প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪২

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামী মাহবুবুর রহমানকে হত্যার দায়ে স্ত্রী রোকসানা আক্তার ও প্রেমিক আসিফ আহম্মেদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শারমিন হাসনাত পারভিন এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— রোকসানা আক্তার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের উত্তরপাড়া গ্রামের মো. শহিদ মিয়ার মেয়ে ও তার প্রেমিক আসিফ আহম্মেদ একই এলাকার বাবুল আহম্মেদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে চাকরি করতেন। রোকসানার সঙ্গে মাহবুবুর রহমানের ২০০৮ সালে বিয়ে হয়। তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসএসফিটার পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন মাহবুবুর রহমান। সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহের বুধবার কাজ শেষে নিজ বাড়ি ভৈরবের চন্ডিবের উত্তরপাড়া গ্রামে আসতেন। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে যথারীতি আবার অফিসের কাজে ঢাকায় চলে যেতেন। তার তিন সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দুদিনের ছুটি নিয়ে রাত ৮টায় বাড়ি আসেন মাহবুবুর রহমান। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। এর আগে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। ওইদিন রাতে রোকসানা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আসিফ আহম্মেদ মাহবুবুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার ছোট ভাইয়ের তিনটি শিশু সন্তান ছিল। তার স্ত্রী আমার ভাই মাহবুবের অনুপস্থিতিতে পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রেমিক আসিফকে দিয়ে তাকে খুন করে ডাকাতি বলে প্রচার করেছিল। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। এখন তিন সন্তানকে নিয়ে আমার চিন্তা থাকবে। সন্তানরা বাবা-মা দুজনকে হারাল। বিচারের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।’

(ঢাকা টাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :