আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার গোলাম দস্তগীর গাজী

আরও একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে। এবার তার বিরুদ্ধে শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাংবাদিক হাসান মাহমুদকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া গাজীকে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই আজিজুল হক ভুইয়া এদিন এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ আগস্ট দিনগত রাতে ঢাকার শান্তিনগর বাসা থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপগঞ্জে গুলিতে নিহত দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় তাকে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের নিহত শফিকুল ইসলাম শফিক ও বাবুল হত্যার দুই মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পারভেজ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার রিমান্ড হওয়া মামলাটি গত ২৯ আগস্ট ঢাকার আদালতে নিহতের স্ত্রী ফাতেমা দায়ের করলে আদালত খিলগাঁও থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, শামীম ওসমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, শাহজাহান খান, মশিউর রহমান রাঙ্গা, এনায়েত উল্লাহ, এরফান সেলিম, লোটাস কামাল, আতিকুল ইসলাম, হারুন-অর-রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার।
মামলায় অভিযোগ, হাসান মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৩১ জুলাই রাত দেড়টার দিকে উত্তরা মুগদাপাড়ার বাসা থেকে তিনি বের হন। রাতে আর বাসায় ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন সাদা পোশাকধারী অজ্ঞাতনামা লোক এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন লোক হাসান মাহমুদকে তুলে নিয়ে গেছে।
পরে স্ত্রী জানতে পারেন, গোড়ান ছাপড়া মসজিদের সামনে তার স্বামী পড়ে আছেন। ভোর ৫টার সময় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসান মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/আরজেড/এজে)

মন্তব্য করুন