রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ ও কমোডর মনিরুল

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৮| আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৬
অ- অ+

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পৃথক দুটি হত্যার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলামকে।

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানম ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আবুল কালামকে এবং রাজধানীর গুলশানে কিশোর বাহাদুর হোসেন মনির হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

গত ৫ অক্টোবর ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আবুল কালাম। এরপর গত ৬ অক্টোবর তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পন্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতা কর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম এই ঘটনায় মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

গত ৯ অক্টোবর রাজধানীর কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে কমোডর মনিরুল গ্রেপ্তার হন। গত ১০ অক্টোবর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার প্রগতি স্বরণীর শাহজাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলন চলাকালে বাদীর ছোট ছেলে মো. বাহাদুর হোসেন মনির রাস্তা পার হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। ওইদিন বাদীর মোবাইলে অপরিচিত একটি নম্বরে ফোন আসে এবং অপর প্রান্ত থেকে বলে মো. বাহাদুর হোসেন মনির নামক এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে। পরবর্তীতে বাদী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তার ছেলে বাহাদুর হোসেন মনিরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত বাহাদুর হোসেন মনিরের বাবা আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।

ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সালথায় নসিমন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
ইবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘বি ইউনিটের’ উপস্থিতি ৯৬ শতাংশ
ফেনীতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ব‍্যাংকার হয়ে আমি কীভাবে লেখালেখির সময় পাই?
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা