বঙ্গভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান ছাত্র-জনতার, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এসময় পুলিশ ও সেনাসদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ।
সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বঙ্গভবনের সামনের সড়কের প্রবেশমুখে এ ঘটনা ঘটে।
রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে এদিন দুপুর থেকে ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি’, ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ সহ বিভিন্ন ব্যানারে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেয়।সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকটি সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে থেকে চলে গেলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের নেতাকর্মীরা। রাত আটটার দিকে গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। এসময় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের নেতা তারেক রহমান।
এক পর্যায়ে বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাত ৮ টা ২৫ মিনিটের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে গেলে পুলিশ সদস্যদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যান। তবে বঙ্গভবনের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে দুপুর থেকে বঙ্গভবনসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/ইএস)

মন্তব্য করুন