তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ২৯৪ রানে থামল বাংলাদেশ

নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে খেলতে নেমেই চমক দেখালো বাংলাদেশ। হারের বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০১ রানে জিতে জয়ে ফিরে টাইগাররা। লাল বলে পাওয়া আত্মবিশ্বাস যেন সাদা বলেও টেনে এনেছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।
সেন্ট কিটসে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ফিফটি তুলে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন জাকের আলী অনিক।
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে আশা জাগিয়েও নিজের ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৮ বলে ১৯ রান করে আলজারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছেনে শাই হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৌম্য। তার বিদায়ে ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্যের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। তবে আজ পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন তিনি। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে উইকেটের পেছেনে শাই হোপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের বিদায়ে ৪৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
৪৬ রানে ২ উইকেট হানানোর পর জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। জুটি গড়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন তারা। এই জুটিতে ভর করে ১৭ ওভার ৫ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। এরই মাঝে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিম। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে আজ তিনি ৪৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। তার মধ্যে রয়েছে ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কা।
তবে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তামিম। ৬০ বলে ৬০ রান করে আলজারি জোসেফের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটি।
তামিম ফিরে গেলে আফিফ হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তামিমের পর তিনিও তুলে নেন ফিফটি। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে ৪ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে ৭১ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আফিফকে সঙ্গে নিযে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি।
তবে দলীয় ১৭৯ রানে আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রোমারিও শেফার্ড। রোমারিও শেফার্ডের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে জেইডেন সেইলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আফিফ। আফিফের বিদায়ে ভাঙে ৫৪ রানের জুটি।
আফিফের পর সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজও। জেইডেন সেইলসের বলে শেরফেইন রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ১০১ বলে ৭৪ রান। তার বিদায়ে ১৯৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৯৮ রানে ৫ উইকে হারানোর জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক। জুটি গড়ে দলকে রান পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তামিম আর মিরাজের পর ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়েস্ট ইন্ডজের বিপক্ষে ৪৩ বলে তিনি তুলে নেন অর্ধশতক।
জাকের আলী অনিকও ছিলেন অর্ধশতকের পথে। তবে মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন তিনি। ৪০ বলে ৪৮ রান করে রোমারিও শেফার্ডের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ের পর নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
(ঢাকাটাইমস/০৮ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন