মাগুরায় খাদ্য গুদামে চাল ঘাটতির অভিযোগ পুনঃতদন্ত চাইলেন অভিযুক্ত

মাগুরা আড়পাড়া খাদ্য গুদামের সাবেক খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) মো. শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আবার তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাগুরার শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী আড়পাড়া খাদ্য গুদামের সাবেক খাদ্য পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৩০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে শালিখা থানায় একটি এজহার দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী সকাল ১১টায় আড়পাড়া এলএসডিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে খাদ্যশস্য মজুতের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়, যা এর আগের পাক্ষিক প্রতিবেদন পযর্ন্ত সঠিক ছিল।
সালমা চৌধুরীর পাক্ষিক প্রতিবেদন ও এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি ১৮ ডিসেম্বর আড়পাড়া এলএসডিতে সরেজমিনে পাক্ষিক পরিদর্শনে যাননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি সেখানে পাক্ষিক পরিদর্শনে যান ১৫ ডিসেম্বর। এই তারিখের পাক্ষিক প্রতিবেদনের স্মারক নং-৪৪৯। ১৫ ডিসেম্বর তারিখের পাক্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে আড়পাড়া এলএসডিতে কোনো চাল মজুত ছিল না।
মো. শফিকুল ইসলামের পুনরায় তদন্তের আবেদন সূত্রে জানা যায়, দুদকের তৎকালীন জেলা সমন্বিত কার্যালয়, ঝিনাইদহের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কমকর্তা সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান ২৯২৩ সালের ২৮ ফেব্রয়ারি মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আড়পাড়া খাদ্য গুদামের ১৮৯.৯৮১/৮ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগসংবলিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।
পুনরায় তদন্তের আবেদনপত্রে মো. শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি ছাড়াও পাঁচজন কর্মচারী এবং দায়িত্বরত লেবার সর্দারসহ লেবাররা সর্বক্ষণই দায়িত্ব পালন করতেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রতি মাসে একবার এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রতি মাসে দুবার মজুদ যাচায়পূর্বক সেন্ট্রাল লেজারে স্বাক্ষর করতেন । ওই সময় মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন মনোতাষ কুমার মজুমদার এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন সালমা চৌধুরী। তার এই দুই ঊর্ধ্বতন কমকর্তা দায়িত্বে থাকার পরও তাদের নামে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। পুনরায় সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আড়পাড়া খাদ্য গুদামের এই সাবেক খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) আরও দাবি করেন, তাকে অভিযুক্ত করার আগে তার নামে পরপর তিনটি নোটিশ জারি করা হয়, যার দুটি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তার ধারণা, অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও লেবাররা পূর্বপরিকল্লিতভাবে তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন