ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের উদ্বোধন

প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে অবস্থিত ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে সম্প্রতি জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহো নাকায়ামা। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ডা. মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল।
জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহো নাকায়ামা তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার স্থাপনের এই যুগোপযোগী উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং এর সম্ভাবনাময় ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি এ প্রচেষ্টার সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল বলেন, ভাষা কেন্দ্র স্থাপন কেবল শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার এক উজ্জ্বল মাইলফলক। এই ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল-এর শিক্ষা ও মানবিক দর্শনের আলোকে আমরা মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য জামাল জি. আহমেদ তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও জাপানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার স্থাপনের সুফল দীর্ঘমেয়াদে পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ড. এমাদুল ইসলাম বলেন, জাপান বিশ্ব মানচিত্রে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার স্থাপনের প্রচেষ্টা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং তা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল তাঁর জন্মস্থান বাঁশগাড়ীতে উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে যে মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা দেশপ্রেমের এক অন্য উদাহরণ। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। এর পথচলা অল্প দিনের হলেও এটি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি, যারা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আউটকাম-বেইজড কারিকুলাম বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং তাদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে এই সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন আশেক আল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
(ঢাকা টাইমস/২৬মে/এসএ)

মন্তব্য করুন