বিরামপুরকে জেলা ঘোষণার যৌক্তিক দাবি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পৌঁছাব: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “বিরামপুরকে জেলা ঘোষণার দাবি যৌক্তিক। এই দাবি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।”

মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলার ছয়টি উপজেলা ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুরের পথসভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। বিরামপুর উপজেলার ঢাকা মোড়ে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “বাংলাদেশের সব জেলায় একদিন করে সফর থাকলেও আয়তনের দিক বিবেচনায় দিনাজপুর জেলায় দুইদিন সফরের সময় দেওয়া হয়েছে। আয়তনের দিক বিবেচনায় দিনাজপুর জেলাকে দুইভাগে বিভক্ত করে বিরামপুরকে জেলা ঘোষণার দাবি যৌক্তিক। এই দাবি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।”

তিনি বলেন, “ভালো মামুষ যে দলেরই হোক তাকে সমর্থন দিতে হবে। বিরামপুরে ভালো মানুষকে সমর্থন দিলে সারা বাংলাদেশে ভালো মানুষের নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি পাঁচ বছরে এমপি ক্যান্ডিটেড কোনোভাবে টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনতো, তারা মার্কা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ইলেকশনে জয়লাভ করত। তারপর সাড়ে চার বছর আর তাদের কোনো খবর নাই। এই রাজনীতির নামে অপকালচার বন্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সামনে নির্বাচন থাকুক আর না থাকুক আমরা যেহেতু আগামীর বাংলাদেশে জনগণের প্রতিনিধিত্ত্ব করার স্বপ্ন দেখি তাই প্রত্যকটি জেলা উপজেলায় যেতে হবে। আমরা যতক্ষণ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারব না ততক্ষণ আমরা এ সফর চালাতে থাকব। আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করার জন্য আসিনি। আমরা দিনাজপুরের প্রত্যেকটি উপজেলায় স্পেশালি বিরামপুরে এসেছি বিরামপুরের মানুষের কথা ও সমস্যা শুনতে। আমরা যখন বিরামপুরে আসি চারদিকে মাদকের খবর শুনতে পাই। আর বিরামপুরে সেই মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট চলে।”

তিনি আরও বলেন, “ভালো মানুষকে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলার সাহস রাখতে হবে। তা না হলে অতীতের মতই রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি শুরু হবে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, আলী নাছের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এফএ)