বেনাপোলে কম শুল্কে আরও ২ লাখ ৩২ হাজার ডিম খালাস

ভারত থেকে আমদানি করা কম শুল্কের আরও এক ট্রাক মুরগির ডিমের চালান খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের চালানটি খালাস নেয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন। চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ডিমের এ চালান বন্দরে প্রবেশ করে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ শতাংশ শুল্কের সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। এই শুল্কে শুল্কায়ন করা প্রতিটি ডিম পাইকারি বাজারে ৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আগে প্রতিটি ডিমে ১ টাকা ৮৩ পয়সা শুল্ক দিতে হতো। এখন থেকে প্রতিটি ডিম মাত্র ৭৬ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। নতুন চালানের প্রতিটি ডিম ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে হবে।

বাজারদর নিয়ন্ত্রণ এবং সরবরাহ বাড়াতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানোর একটি আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই নির্দেশনায় গত ২০ অক্টোবর থেকে বেনাপোল কাস্টমসে ডিমের চালান ছাড় করানো হচ্ছে।

এদিকে, ডিম আমদানি বাড়ার ফলে বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্তমানে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা দরে প্রতি হালি ডিম কিনতে পারছে ক্রেতারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে গতকাল ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ ডিম আমদানি হয়েছে। একটি মাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনো ডিম আমদানি করেনি।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশনের স্বত্বাধিকারীর প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত কম শুল্কে বন্দর থেকে ডিম খালাস নিচ্ছি। এখন থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ শুল্কে ডিম খালাস দিচ্ছেন। এখন দাম আগের চেয়ে ৪-৫ টাকা কম। প্রতিটি ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।’

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির জানান, আমদানিকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে চালান খালাস দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/মোআ)