লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় এক দিনে নিহত ৫৯
লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার দিনভর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এতে এক দিনে ৫৯ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোর মধ্যে লেবাননে এটিই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা। খবর আনাদোলুর
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দেশটির সামরিক বাহিনীর এমন বেপরোয়া আচরণ দেখা গেল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সর্বশেষ এই হতাহতের ঘটনার পর গত এক বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লেবাননে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৪২ জনে। আর আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৫৬ জন।
গেল সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। লেবাননে নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করলে তা মেনে নেয়নি নেতানিয়াহু সরকার।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। তবে সেসব হামলা ছিল নিয়ন্ত্রিত।
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দা একবছর ধরে ঘরবাড়ি ছাড়া। যা নিয়ে বেশ বিপাকে ইসরায়েলি সরকার।
ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ ইএস
মন্তব্য করুন