মাওলানা সাদকে ‘অপমান’
দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২ আলেমের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি সম্পর্কে অপমান ও কুৎসাজনক বক্তব্য প্রচার করার অভিযোগ দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২ আলেমের বিরুদ্ধে পাঁচশত কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা হয়েছে। মামলার বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক।
মো. যুবায়ের হোসেন নামে এক ব্যক্তি ১ ডিসেম্বর ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। সোমবার বাদীর আইনজীবী খান মোহাম্মদ মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত আবেদন গ্রহণ করে আগামী ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ কোর্ট ফি দাখিলের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান মুন্না, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, মাওলানা নুরুল ইসলাম অলিপুরী, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, লোকমান মাজহারী ও মুফতি জাফর আহমেদ।
মামলায় বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর বিবাদীরাসহ কতিপয় আলেম শাহবাগ থানাধীন সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানের সমাবেশে সাধারণ মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে বাদীর প্রাণপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা সাদ কান্ধলভী সম্পর্কে উদ্দেশ্যে মূলকভাবে তার সুনাম ও সুখ্যাতি হানির অপচেষ্টায় সমাবেশে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর, অপমান ও কুৎসাজনক বক্তব্য প্রচার করেন।
বিবাদী ছাড়াও অন্যান্যরা কোনোরুপ তথ্যপ্রমাণ ব্যতিরেকে মনগড়া ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য সমূহ পপ্রদান করেন এই উদ্দেশ্যে যে, যেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী একজন কাদিয়ানি বা তথাকথিত মুসলিম হিসেবে সমাজে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিকট প্রচার পায়। মাওলানা সাদ অনুসারীদের বলা হয়, কাফের, জারজ সন্তান, মুরতাদ, সাদ অনুসারী হওয়ায় তারা সবাই স্ত্রী হইতে তালাকপ্রাপ্ত। এই বিবাদীরা সর্বদা এহেন উদ্দেশ্যমূলক কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে বাংলাদেশের কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এবং নিরীহ জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়ে তাদের এহেন চক্রান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে সারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার মাধ্যমে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবাদীদের এহেন অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ নিরীহ সাধারণ মানুষ তাদের এমন চক্রান্ত ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এরূপ মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য পরের দিন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার পাওয়ায় সাদ অনুসারীরা অত্যন্ত মর্মাহত ও মানষিকভাবে ভীষণ আঘাতপ্রাপ্ত হন। বিবাদীদের উদ্দেশ্যমূলক কুরুচীপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকৃত পক্ষে তাদের মনগড়া ও ভিত্তিহীন এবং উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদকে দেশে ও বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন করাসহ সত্য ও ন্যায়ানুনাগ ইসলামী বিধি বিধান প্রচার প্রসারে বাধা দানের একটি অপকৌশল মাত্র।
ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/ইএস
মন্তব্য করুন