শপথ নিয়ে যাত্রা শুরু নাসির উদ্দীন নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪১| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৭
অ- অ+

এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নিয়েছে। রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তাদের শপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সবার আগে শপথ পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তারপর শপথ পড়ানো হয় মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহ্‌মদ এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে।

এরপর স্বাক্ষর বইতে স্বাক্ষর করেন নতুন নির্বাচন কমিশনাররা। শপথ পাঠের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছবি তোলেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পর নতুন সিইসি ও চার কমিশনার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য সব আয়োজন সেরে রাখা হয়েছে। নতুন কমিশনকে বরণ করতে ইসি সচিব নিজে গেছেন।

নতুন কমিশনের যোগদানের আগে নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি অফিসের সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সিইসি ও চার ইসির কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন করে রঙ করা হয়েছে।

গত ২১ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ এম এম নাসির উদ্দীনকে সিইসি এবং চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের নিয়োগ দেন।

আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গত ৩১ অক্টোবর গঠিত সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের মধ্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন ইসি গঠন হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ এর অধীনে গঠিত এটি দ্বিতীয় ইসি। আর তাদের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।

এক নজরে নতুন সিইসি ও চার ইসি

সিইসি নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই জন্ম নেওয়া নাসির উদ্দীনের পড়াশুনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করার পর ১৯৭৭ সালে শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।

পরে ১৯৭৯ সালে তিনি প্রশাসন ক্যাডার হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রশাসন ক্যাডারের এ ব্যাচটি বিসিএস ৭৯ ব্যাচ হিসেবে পরিচিত। নাসির উদ্দীন তার দীর্ঘ কর্মজীবনে তথ্য সচিব, জ্বালানি সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান।

নতুন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার অতিরিক্ত সচিব হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে অবসরে যান। ওই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবও ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

আবদুর রহমানেল মাসুদ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ।

বেগম তাহমিদা আহমেদ ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই বছরই তিনি প্রথমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং পরে পাট অধিদপ্তরের পরিচালক হন।

১৮তম বিএমএ লং কোর্সের সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ৩৫ বছর মিলিটারি সার্ভিসে ছিলেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে তাকে মিনিস্টার পদের কূটনৈতিক পদমর্যাদায় এ পদে নিয়োগ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/ডিএম)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কারাগারে বিশেষ বন্দিদের মোবাইল ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই: আইজি প্রিজন্স
পরিবারের সঙ্গে মিলেছে হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ হাইকোর্টের
জয় দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর্ব শেষ করলো বাংলাদেশ
চন্দনাইশ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ঢাকায় গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা