সড়ক ছাড়লেন অটোরিকশাচালকরা, কাল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক
গণঅবস্থান কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সড়ক ছেড়েছেন আন্দোলনরত অটোরিকশাচালকরা। ফলে দুপুর দেড়টা থেকে ওই সড়ক এবং হাইকোর্ট, মাজার রোড দিয়ে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
অটোরিকশা চালকদের আজকের গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় ১১ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
এর আগে ১১ দফা দাবিতে রবিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান নেন অটোরিকশাচালকরা। এর ফলে প্রেসক্লাবের সামনে মূল সড়ক এবং আশপাশের সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওইসব সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা।
এদিন রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে প্রেসক্লাবে এসে জড়ো হন চালকরা। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, হাজারিবাগ ও সেকশন এলাকা থেকে তারা আসেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম রোড এলাকা থেকেও রিকশাচালকরা প্রেসক্লাবে এসে জড়ো হন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের একটি বড় মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার মোড় ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসে। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
পরে প্রেসক্লাবের সামনে এসে রাস্তায় বসে পড়েন রিকশাচালকরা। প্রেসক্লাবের সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে লাল ব্যানারে সমাবেশ মঞ্চের আয়োজন করে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। সেখানে বক্তব্য দেন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে শনিবার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ১১ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হচ্ছে— দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুট পারমিট দিতে হবে; চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করতে হবে; সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ করতে হবে।
আন্দোলনে আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন ও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; জব্দ করা সকল ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও ব্যাটারি মালিকের কাছে হস্তান্তর ও নিলামকৃত ব্যাটারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এছাড়া চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করতে হবে; মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের পুঁজিকে নিরাপদ করে পর্যায়ক্রমে প্যাডেলচালিত বাহনের শ্রম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের ওপর সকল জুলুম-নির্যাতন-চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
এদিকে রবিবার একই দাবিতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়ক ও তিন রাস্তার মোড়ে শত শত রিকশাচালক অবস্থান নেন। এতে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অফিস ও জরুরি কাজে যারা বের হন, তারা পড়েন বিপাকে। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন