২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রায়
আবারও প্রমাণিত হলো, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক: মির্জা ফখরুল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাস পাওয়ার ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার লন্ডন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।’
মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণিত হলো, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল।’
এর আগে রবিবার বেলা পৌনে ১২টায় বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২১ আগস্ট কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেননি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া কে গ্রেনেড মেরেছে তাও বলেননি কোনো সাক্ষী।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) রায় দেন। রায়ে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন কারাগারে আছেন।
আজ হাইকোর্ট জানায়, বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ এবং তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/জেবি/এমআর)
মন্তব্য করুন