‘মৌলবাদীদের খুশি করতেই সরকার বাল্যবিয়ের পক্ষে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:০১ | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৩৪

সরকার মৌলবাদীদের খুশি করতে চায়, এজন্য বাল্যবিয়ের পক্ষে সরকার-এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ভোটের রাজনীতির সুবিধা ভোগ করতেই সরকার এই আইন প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও দাবি এই শিক্ষাবিদের।

শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাল্যবিয়েকে শিশুবিয়ে আখ্যা দিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একমাত্র মৌলবাদীরাই বাল্যবিয়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সরকার মৌলবাদীদের স্বার্থ ও দাবি রক্ষার্থেই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান রেখেছে।’

এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘মৌলবাদী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার লক্ষেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ দেশের অন্য কোনো সম্প্রদায় এই আইন সমর্থন করে না বলেও দাবি তার।

এই আইনকে নারীর গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইন প্রণয়নে ক্ষেত্রে অবশ্যই জনসাধারণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সব মানুষের সমমর্যাদার বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু সরকার এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের নারী সমাজের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।’

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সমাজ থেকে সবধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটানো এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিবেচনা করা হবে না। এ আইনটি একদিকে যেমন সমাজ বিকাশের ধারায় গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও পরিপন্থী।’

নারী সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের আগে নারীর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে না। বাল্যবিয়ের ফলে নারীরা যৌনরোগ, গর্ভকালীন জটিলতা, প্রসবকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি, জরায়ু মুখে ক্যানসার ও ফিস্টুলাসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বহু বছর আগে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বলেছিলেন- সকল সুখের মূল যে শারীরিক স্বাস্থ্য তাহাও বাল্য পরিণয়যুক্ত ক্ষয় পায়। ফলত অন্যান্য জাতি অপেক্ষা অম্মদ্দেশীয় লোকের যে শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্যে নিতান্ত দরিদ্র হইয়াছে, কারণ অন্বেষণ করিলে পরিশেষে বাল্যবিবাহই ইহার মূখ্য কারণ নির্ধারিত হইবে সন্দেহ নাই।’

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, মতিন সরকার প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এনএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

নারীমেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নারীমেলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :