সফটওয়্যার দিয়ে বিকাশ প্রতারণা

বরিশালে বিশেষ সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিকাশ প্রতারণা করায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গাজীপুর থেকে শহীদুল ইসলাম সাইদুল ও আবু হানিফ এবং শরীয়তপুর থেকে আরিফ হাওলাদার ও জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে মূল হোতা শহীদুল ইসলাম সাইদুলকে ১৪ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। আর বাকিদের গত রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, তিনটি ল্যাপটপ, ১০টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, পেঙ্গুইন নামের বিশেষ সফটওয়্যার, একটি ডেভিড ও একটি ক্রেডিট কার্ড এবং ৪৫৯টি বিভিন্ন কোম্পানির ভূয়া রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকালে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ইন সার্ভিস সেন্টারে জেলা পুলিশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘একটি চক্র বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, যশোর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ইতোমধ্যে প্রতারণা করেছে। এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বানারীপাড়া, আগৈলঝাড়া ও হিজলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ফোন করে এক সচিবকে জড়িয়ে ব্যাপক অংকের টাকা দাবি করে চক্রটি। এছাড়া হিজলা-গৌরবদী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এ চক্রগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।’
পুলিশ সুপার জানান, জেলা ডিবি পুলিশের এসআই তুনার কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৪ জানুয়ারি এই চক্রের মূলহোতা সাইদুল এবং তার দলের বাকি তিন সদস্যকে ২৯ জানুয়ারি গাজীপুর ও শরীয়তপুর থেকে আটক করা হয়। এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এ প্রতারক চক্রটি পেঙ্গুইন নামের একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রতারণা করে। এদের পেছনে একটি সাপোর্টিং টিম রয়েছে। এরা টেকনিক্যাল টিম। চক্রটির আরও সদস্য রয়েছে, যাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি (প্রশাসন) মো. হুমায়ুন, এডিশনাল এসপি (ডিএসবি) মোল্লা আজাদ, মেহেন্দীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি সুকুমার রায়।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএ)

মন্তব্য করুন