ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধিতা

বরখাস্ত হলেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৫৪| আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৫৭
অ- অ+

অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করায় ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটসকে বরখাস্ত করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছেন ডানা বোয়েন্ট।

ইয়েটস আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই তাকে বরখাস্ত করে নিয়োগ দেয়া হয় বোয়েন্টকে। ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

অভিবাসন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন সেটিকে বলবৎ না করতে বিচার বিভাগের (জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তাদের আদেশ দিয়েছিলেন ইয়েটস। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল তার দপ্তরের সঙ্গে 'বিশ্বাসঘাতকতা' করেছেন।

এর আগে এক চিঠিতে ইয়েটস বলেছিলেন, অভিবাসন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আদেশ জারি করেছিলেন সেটি আইন সংগত হয়নি বলেই তার মনে হয়।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যতক্ষণ ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি, ততক্ষণ পর্যন্ত জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের পক্ষে কোন যুক্তি তুলে ধরবে না ।’

হোয়াইট হাউজ বলছে , এ ধরনের অবস্থানের মাধ্যমে ইয়েটস তার অফিসের সঙ্গে 'বিশ্বাসঘাতকতা' করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির আনুষ্ঠানিক সমালোচনা করতে যাচ্ছেন, এমনকি এর একটি খসড়াও তৈরি হয়েছে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।খসড়ায় বলা হয়েছে, অভিবাসনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করাটা অমার্কিনসুলভ, এটা করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করা যাবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিচার বিভাগ থেকে প্রতিবাদের এই খবর এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নীতি নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিবাসন নীতির সমালোচনার কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে সমস্যা? আপনারা হয় এই কর্মসূচী মেনে নিন নইলে আপনারা বিদায় নিতে পারেন’।

গত শুক্রবার সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ট্রাম্পের নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা সাত দেশ হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়া।

এরকম প্রেক্ষাপটে রেওয়াজ ভেঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বারাক ওবামা। রেওয়াজ অনুযায়ী কোন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কখনো মন্তব্য করেন না।

ওবামা অবশ্য হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে বলেছিলেন, তিনি যদি মনে করেন ট্রাম্প মার্কিনিদের মূল মূল্যবোধের উপর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাহলে হয়তো তিনি এটা নিয়ে কথা বলবেন।

ওবামার মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেন, সাবেক নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির সঙ্গে একমত পোষণ করেন না।

(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/জেএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কুষ্টিয়ায় জাসদ কর্মী হত‌্যার ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৩
চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির আলোচনা সভা চলছে
নরসিংদীতে ৮ মামলার আসামিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা
কলরেকর্ড ফাঁসের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা