আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে সকালেই প্রাণ ঝরল কুষ্টিয়ায়
সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল সকাল সংঘর্ষে জড়ালো দুই পক্ষ। তারা দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের সমর্থক। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা হামলে পড়লো প্রতিপক্ষের ওপর। ভাঙচুর করলো বাড়িঘর। আর অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হলো একজনকে।
শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারাখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম ইদ্রিস আলী। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, তিন শতক জমি নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এরা কি আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ?-এমন প্রশ্ন করলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দল তো সাপোর্ট করেই। কিন্তু ঘটনাটা জমি নিয়ে।’
সেটা কী রকম- জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তিন শতক জমি নিয়ে দুই জনের মধ্যে বিরোধ। এ নিয়ে বহু সালিশ হয়েছে। কাল সালিশে ঠিক হয়েছিল ইসমাইলকে জমি লিখে দেবে শাহজাহান। কিন্তু না দেয়ায় এই ঘটনা ঘটলো।’
এখন এলাকার পরিস্থিতি কেমন-এই প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা এলাকায় এসেছি।’
স্থানীয় সংবাদ কর্মী মিলন উল্যাহ ঢাকাটাইমসকে জানান, এই সংঘর্ষ ঘটেছে মূলত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল সরদার ও হাসান মাস্টারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জেরে। তিনি জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে পৌনে আটটার মধ্যে সরকি (এক ফলার দেশীয় অস্ত্র) নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় দুই পক্ষের বাড়িঘরও। এক পর্যায়ে হাসান মাস্টারের পক্ষের কর্মী কৃষক ইদ্রিস আলীকে পেয়ে তাকে কোপায় প্রতিপক্ষ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
মিলন উল্যাহ জানান, এই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগেও নানা ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন