বিএনপির প্রধান আপত্তি সিইসিকে নিয়ে

আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিএনপি। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে নিয়ে তাদের প্রধান আপত্তি। তিনি ‘জনতার মঞ্চের’ লোক এমন অভিযোগ এনে শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) প্রত্যাখ্যান করতে পারে দলটি। তবে এককভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে জোটের শরিকদেরও মতামত নিতে চায় বিএনপি। এজন্য আজ রাতে শরিকদের সঙ্গে বসছেন জোটনেত্রী খালেদা জিয়া।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠেকে নতুন ইসি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় সব নেতাই একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। তবে দুই একজন সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে এ ব্যাপারে কৌশল নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নতুন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করার দাবি ছাড়াও এ নিয়ে কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বলে বৈঠক সূত্রে শোনা গেছে।
এদিকে কমিশনারের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার বিএনপির তালিকার কি না তাও পরিষ্কার নয় দলটির কাছে। ফলে বিএনপিসহ জোটের সবার তালিকা প্রকাশ করে সরকার যে তাদের প্রস্তাবিত কাউকে রাখেনি তা জনসম্মুখে প্রচার করার কথাও ভাবছে দলটি।
বিএনপি মনে করে মাহবুব তালুকদার ছাড়া বাকি সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
এছাড়া নতুন সিইসি নুরুল হুদা ‘জনতার মঞ্চের’ লোক। এজন্য চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল তাকে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একই সঙ্গে অন্য তিন কমিশনারও আওয়ামী লীগ সমর্থিত। বিএনপির দেয়া তালিকা থেকে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাই নুরুল হুদার নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করতে পারছে না দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এদের কেউই বিএনপির কাছে পরিচিত মুখ নন। সুতরাং একতরফাভাবে কমিশন মেনে নেয়া হবে না। বিএনপি এই ইসিকে প্রত্যাখ্যান করছে। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেও জানানো হবে। এর প্রতিবাদে কর্মসূচিও আসতে পারে।’
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া নতুন ইসির সদস্যদের সবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য বলেছেন। তারা যে সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তা তুলে ধরতে চান খালেদা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনতার মঞ্চের লোক। বাকিরাও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। এ অবস্থায় এদের কাছ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।’ তিনি বলেন, ‘এটা প্রত্যাশিত ছিল না। চাইলে শতাধিক নাম থেকে আরও নিরপেক্ষ লোককে নিয়োগ দিতে পারতেন রাষ্ট্রপতি।’
দুদু বলেন, ‘এদের সার্বিক পরিচয় জেনে মন্তব্য করলে ভালো হবে। তবে নিশ্চয়ই দল থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)

মন্তব্য করুন