৪০০ বস্তা চাল নিয়ে উধাও ট্রাকচালক
হবিগঞ্জে ৪০০ বস্তা চালসহ ট্রাক নিয়ে এক চালক উধাও হয়ে গেছে। খোয়া যাওয়া চালের মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীও। তারা এ বিষয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চাল নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছার কথা থাকলেও এক সপ্তাহেও ট্রাক চালকের খোঁজ মিলছে না।
বন্ধন ট্রান্সপোর্টের মালিক সুহেল মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, তারা প্রায় সময় গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মালামাল পরিবহনের ব্যবস্থা করে দেন। আর বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল নিয়ে আসা গাড়িগুলোও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেউ মালামাল পরিবহন করতে চায় কিনা সে জন্য। সে ক্ষেত্রে তারা গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র, চালক ও মালিকের মোবাইল নম্বর নিশ্চিত হয়ে ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর ধারাবাহিকতায়ই তারা এ ট্রাকটি ভাড়া করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু চালক তার জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে মর্মে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি জিডির কপি দেন। গাড়ি চালক ও তার দেয়া মালিকের মোবাইল ফোন নাম্বারে বার বার তারা যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন।
১৬ ফেরুয়ারি সকাল থেকে ট্রাকের চালক ও তার দেয়া মালিকের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রাত পর্যন্ত বন্ধ পাওয়ায় তাদের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয়। তারা এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
বন্ধু অটো রাইস মিলের মালিক মোঃ আব্বাস উদ্দিন জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪০০ বস্তা চাল কক্সবাজার পাঠানোর জন্য তারা বন্ধন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে একটি ট্রাক ভাড়া করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের চাল গন্তব্যে পৌঁছেনি। চালকল মালিকরা এ বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
ট্রান্সপোর্ট মালিকরা বলেছেন, গাড়ি পাওয়া যাক বা না যাক তারা চালের মূল্য পরিশোধ করবেন। খোঁয়া যাওয়া চালের মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, এ বিষয়ে আপোসের জন্য তারা আলোচনা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি তাদের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)