গাইবান্ধায় ভাঙা সেতুর উপর বেইলি ব্রিজ

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০১৭, ০৯:২৮

গাইবান্ধা থেকে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা যোগাযোগের একটি মাত্র সড়ক। আর সেই সড়কে নির্মিত বাদিয়াখালি সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচল করছে। সাতের বছর আগে বন্যায় সেতটিুর একাংশ বিধ্বস্ত হলে পরে সেতুটি মেরামত না করে তার উপর স্থাপন করা হয় ইস্পাতের বেইলি ব্রিজ। একটি সেতুর উপর আরও একটি সেতু হওয়ায় দূর থেকে পাহাড় বা টিলার মতো উঁচু দেখা যায় সেতুটি। আর যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। অথচ জেলা শহরের সঙ্গে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অসংখ্য মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতটিু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, ব্রিটিশ আমলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের পুরাতন বাদিয়াখালি নামক স্থানে আলাই নদীর উপর সেতুটি নির্মিত হয়।

২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সেতুর উত্তারাংশের কংক্রিটের পাটাতন ধসে যায়। ওইদিন থেকে প্রায় একমাস জেলা শহরের সঙ্গে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকে। এরপর গাইবান্ধা সওজ বিভাগ বিধ্বস্ত কংক্রিটের সেতুর পুরো অংশের উপর একটি ইস্পাতের বেইলি ব্রিজ স্থাপন করে।

সেতু সংলগ্ন গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালি গ্রামের ব্যবসায়ী শামিম-উল-হক বলেন, বাদিয়াখালি বাজারে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট। ফলে সবসময় মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ভিড় লেগেই থাকে। দুর্বল ভিত্তির উপর বেইলি সেতু স্থাপন করায় তা আরও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সেতুর উপড় সেতুর কারণে এটি অনেক উচুঁ ফলে দুইদিক থেকে সেতুতে উঠতে গিয়ে যানবাহন উল্টে দুঘর্টনা ঘটছে প্রতিদিন।

বাদিয়াখালি বাজারের চাকরিজীবী বিমল কুমার বলেন, সেতুটি দিয়ে গাড়ি চলাফেরা করার সময় অনেক যানবাহন উল্টে পাশের দোকানের ওপর পড়ছে। ফলে সেতুর আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীদের উৎকণ্ঠায় থাকতে হচ্ছে।

বাদিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাফায়েতুল হক পাভেল বলেন, এই সেতুর উপর দিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে। অথচ নতুন সেতু নির্মাণে সওজ বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোন কাজ হয়নি।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণসহ সেতু নির্মাণের জন্য ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প সড়ক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :