চলন বিলে গমের বাম্পার ফলন

সাহেদ খান জয়, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০১৭, ০৯:১৭

এক সময় চলন বিলাঞ্চলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সলঙ্গা, উল্লাপাড়া পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহরসহ তাড়াশ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি গমের আবাদ হয়েছে। মাঝে অনেকটা সময় নানান কারণে এসব উপজেলার কৃষকেরা গমের আবাদ কিছুটা কম করেন। ধান চাষের ওপর বেশি ঝুঁকে পড়েন তারা।

বর্তমানে এসব উপজেলার কৃষকরা আবারও গম চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তা ছাড়া ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ অনেক কম।

তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের গমচাষি প্রদীপ কর্মকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, সার, বীজ ও সেচ খরচ কম হওয়ায় এ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গমের আবাদ করেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানান, এবছর চলন বিল এলাকায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের গমের আবাদ করা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি। গমের ফলনও হয়েছে বাম্পার। এর মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় ৩১০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে।

বিভিন্ন জাতের গম চলনবিল এলাকায় ফলন হয়। গমের বীজের মধ্যে শতাব্দী, সৌরভ, প্রদীপ এবং বিজয় জাতের গমের ফলন বেশি হওয়ায় এ জাতের গম আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেশি।

এ জাতের গম বিঘায় ১২-১৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ১৮ মণ ফলনও হয় বলে জানান।

উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের কৃষক আফজাল সরকার জানান, গত বছর ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এ মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি ১২ মণ ফলন আশা করছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, চলন বিল এলাকাকে শষ্য ভাণ্ডার বলা হয়ে থাকে। এখানকার কৃষকেরা ধান ও মাছ চাষই বেশি করে থাকেন। আগে একটা সময়ে চলনবিল এলাকায় ব্যাপক হারে গমের আবাদ হতো। এখনো হয়, কিন্তু আগের তুলনায় কম। আর এ উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি, কৃষক দামও পাবেন ভাল।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :