মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী ধূমপানে নিরুৎসাহিত করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:০৯| আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:২৩
অ- অ+

সিগারেট মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ৭৫ শতাংশ ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করে। গত বছরের ১৯ মার্চ বাংলাদেশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী চালু হওয়ার প্রায় এক বছর পরে তামাক সেবনকারীদের উপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ধূমপায়ীদের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি তৈরি করে কি না এ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, এসব ছবি দেখে প্রায় ১৪ শতাংশ ধূমপায়ী অত্যন্ত ভয় পান, ৬১ শতাংশের বেশি খুব ভয় পান, ১৪ শতাংশের বেশি মোটামুটি ভয় পান এবং বাকিদের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না।

জরিপে আরও দেখা গেছে, মোড়কে এই সতর্কবাণী সংযোজিত হওয়ার পর ধূমপায়ীরা তাদের ধূমপানের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে ২৯ শতাংশ ধূমপায়ী দিনে ত্রিশ বারের বেশি ধূমপান করত এখন সেই হার ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এর প্রভাবে শহরের তুলনায় গ্রামীণ ধূমপায়ীদের মধ্যে ধূমপান কমানোর প্রবণতা বেশি।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৩ শতাংশ মনে করেন, এই সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নতুন কেউ ধূমপান করার আগে তাকে কয়েকবার ভাবতে বাধ্য করবে। বাংলাদেশে প্রচলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর ধরণ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে প্রায় ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে, বর্তমানে যেভাবে সিগারেটের প্যাকেটের পঞ্চাশ শতাংশ স্থান জুড়ে ছবি রয়েছে তা ধূমপান কমানোর জন্য বা তা থেকে বিরত রাখার জন্য যথেষ্ট।

শহর ও গ্রামে তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রচারের আচরণগত প্রভাবের ওপর এক জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল ইত্যাদি তামাক পণ্যের মোড়কে বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রচার করছে কি না এবং মানুষ এসব ছবি দেখে কী ভাবছে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। সেখানে বাংলাদেশের টোব্যাকো শিল্পের বর্তমান অবস্থাও তুলে ধরা হয়।

দেশের আটটি বিভাগের গ্রাম ও শহরাঞ্চলের ৬৪০ জন ধূমপায়ীর ওপর জরিপর চালিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু কাঠামোগত প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়। এজন্য চারটি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনও পরিচালনা করা হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনার পাওয়ার এই জরিপ পরিচালনা করে।

সব ধরনের তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাধ্যতামূলক হলেও জরিপের ফলাফল প্রমাণ করে সিগারেটের মোড়কেই কেবল তা মানা হচ্ছে। অন্যান্য বিড়ি, গুল, জর্দ্দার মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণীর উপস্থিতি খুবই নগন্য। অংশগ্রহণকারী ৯৫ শতাংশের বেশি সিগারেটের মোড়কে এর উপস্থিতি দেখেছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত গবেষণায়ও এটা প্রমাণিত যে সচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবাণী ধূমপানের কুফল সম্পর্কে জানাতে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি বলে ও জপিরে উল্লেখ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/টিএ/জেডএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পেটের চর্বি কমাবে ‘পিরামিড ওয়াকিং’! যে নিয়মে হাঁটতে হবে
গৌরবের ১০৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজন
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা