নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে একান্তে পেতে ইউএনও’র ‘চাপ’

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল
  প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:২০| আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:১২
অ- অ+
ছবিতে ইউএনও আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমাকে একান্তে পেতে চান বলে অভিযোগ করেছেন এই জনপ্রতিনিধি। তিনি বলেন, পাত্তা না দেয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় সচিব বরাবর একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন কানিজ ফাতেমা।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সরকারি কর্মকর্তা অবশ্য একে চক্রান্ত বলছেন। তার দাবি, তাকে একটি মহল ফাঁসিয়ে এখান থেকে সরাতে চাইছে। কানিজ ফাতেমার অভিযোগ এরই অংশ।

তবে কানিজ ফাতেমা ঢাকাটাইমসকে বলেনন, ‘আমি যেসব অভিযোগ করেছি তার প্রতিটিই সত্য। নিজের সম্মান নিয়ে কেউ মিথ্যে প্রচার করতে পারে না।’

এই জনপ্রতিনিধি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যে অভিযোগ পাঠিয়েছেন, সেই চিঠির একটি অনুলিপি বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কানিজ ফাতেমাকে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করতে বলেন ওই ইউএনও। তিনি ফোন না করায় ইউএনও তার অফিসে চা চক্রের আমন্ত্রণ জানান। কানিজ ফাতেমাকে বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, যদি আমি ইউএনওকে একান্তভাবে সময় দেই তাহলে তিনি আমাকে অনেক সুযোগ সুবিধা করে দেবেন।’

অভিযোগে কানিজ ফাতেমা লেখেন, তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন ইউএনও। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও মাসিক সাধারণ সভায় ভাইস চেয়ারম্যানকে তিরস্কারমূলক উক্তি করে আসছেন ইউএনও। তাকে দুই টাকার ভাইস চেয়ারম্যান বলে উল্লেখ করে তার অফিস থেকে চেয়ার সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, নারী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার অধিকার খর্ব ও অশোভন আচরণ করে চলছেন ইউএনও। বরাদ্দ থাকা সত্বেও তার অফিসে কোন পিয়ন না দেয়ার অভিযোগও করেছেন কানিজ ফাতেমা।

ইউএনওর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন ওই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারেও তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এতে তিনি টি আর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপিসহ বিভিন্ন সরকারি অর্থ আতœসাৎ অপচয় এবং প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ, ২১ ফেব্রুয়ারি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে প্রায় ৬৭টি ইট ভাটার প্রতিটি থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, শতাধিক করাত কল থেকে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে, চাল কল, ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন, পোল্ট্রি ফার্ম, জুয়েলারি দোকান, বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক কোটি টাকা চাঁদা তুলেছেন ইউএনও। এই টাকার সামান্য অংশ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে খরচ করলেও সিংহভাগ উঠেছে তার ব্যক্তিগত পকেটে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো চেষ্টা করছে একটি মহল।’ তবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠক হয়েছে বলে স্বীকারও করেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গল মারভেলসের জয়
কিশোর মুক্তিযোদ্ধার প্রাণের বিনিময়ে আজ পাক হানাদার মুক্ত হয় শ্রীপুর
যাকে সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি, তাকেই ‘র’ এজেন্ট বলছেন: আসিফ মাহমুদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা