চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগীর চাপ, চিকিৎসায় হিমশিম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৫
অ- অ+

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। অধিকাংশই শিশু রোগী। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

গত ১ সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে মোট ২৮৩ জন রোগী। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক রোগী।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর থেকে আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৮৩ জন রোগী ভর্তি হয় এখানে। আজ বিকেল পর্যন্ত ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৪২ জনের বেশি রোগী। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।

সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের এক শিশু রোগীর মা সালমা খাতুন বলেন, ‘আমার আট মাসের ছেলেকে তিন দিন আগে ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে ভর্তি করি। রোগীর এত চাপ যে এখানে থাকতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও ছেলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর গুশানপাড়া এলাকার নাজমা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল। সোমবার সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা সাপ্লাই নেই। এগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’

হাসপাতালে স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা না থাকার কথা স্বীকার করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এগুলো চলে আসবে।’

এ সময়ে ডায়রিয়া রোগী বাড়ার কারণ হিসেবে হাসপাতালের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবর রহমান মিলন বলেন, ‘ইদানীং রোটা ভাইরাস ও শীতজনিত কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী বেশি। বিশেষ করে শিশুরা রোটা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর কোনো মেডিসিন না থাকায় ৪ থেকে ৫ দিন শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকছে। ৫ দিন পর ভাইরাস মারা গেলে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে তারা।’

এ থেকে প্রতিকার পেতে ডা. মাহবুবর রহমান মিলনের পরামর্শ, শিশুদের বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে ডায়রিয়া মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে। ১ দিন থেকে ৬ মাসের শিশুদের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। ডায়রিয়া হলে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি
দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: লায়ন ফারুক
মানুষ চায় জনগণের সরকার: আমিনুল হক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা