বনানী ধর্ষণ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ আগামী ১৯ জুন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলাটিতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামমি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসন। আসামিদের মধ্যে রহমত আলী ছাড়া বাকি সবাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে একজন বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার সময় আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/আরজে/জেডএ)