জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিলের শুনানি ৫ জুন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় টাকার উৎসের বিষয়টি তদন্ত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত।
গত ৭ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার একাংশের পুনঃতদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নিম্ন আদালতে একই আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আইনজীবী জানান, মামলায় উল্লিখিত টাকা সৌদি আরব থেকে ট্রাস্টের নামে এসেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি থেকে কোনো অর্থ আসেনি, অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। যা কুয়েতের আমির ট্রাস্টের নামে পাঠিয়েছেন। তাই আমরা মামলার এই অংশটির পুনঃতদন্ত চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করি। কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি সে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। তাই এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। হাইকোর্টও খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এমএবি/জেবি)