ঈদের আগে বরিশাল রুটে নামছে অত্যাধুনিক দুই লঞ্চ

তন্ময় তপু, বরিশাল থেকে
| আপডেট : ০৩ জুন ২০১৭, ১০:৫৪ | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০১৭, ১০:৪৯

ঈদে যাত্রীসেবায় ঢাকা-বরিশাল রুটে নামছে দুটি ক্যাটারমেন টাইপের লঞ্চ। ২০ থেকে ২৫ রমজানের মধ্যে লঞ্চ দুটি চলাচল শুরু করবে এ রুটে। চলবে দিনের বেলা। গ্রিন লাইন ওয়াটারওয়েজের পর এটিই হবে এই রুটে অত্যাধুনিক দিবা সার্ভিস।

অ্যাডভেঞ্চার-৫ ও ৬ নামের লঞ্চ দুটির প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। বাকি ছোট ছোট কাজগুলো করা হচ্ছে নদীতে ভাসমান অবস্থায়। লঞ্চ দুটি নামানো হয়েছে কীর্তনখোলা নদীতে। ঈদের আগেই ঢাকা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিসে চলাচল শুরু করবে এগুলো।

কীর্তনখোলা নদীতীরে অ্যাডভেঞ্চার শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন অ্যাডভেঞ্চার-৫ ও ৬ লঞ্চের স্বত্বাধিকারী মো. নিজাম উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জানান, নতুন মেরিন ইঞ্জিন ও শিট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে লঞ্চ দুটি। ক্যাটারমেন টাইপের এ লঞ্চে ৬০০ করে যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া তিন তলাবিশিষ্ট লঞ্চটি ভাগ করা হয়েছে ইকোনমি, বিজনেস ও প্রিমিয়াম ক্লাসে। ভাড়াও ইতিমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইকোনমি ক্লাস অর্থাৎ নিচতলায় ভাড়া ৫০০ টাকা, বিজনেস ক্লাসে ৭০০ টাকা ও তৃতীয় তলার প্রিমিয়াম ক্লাসে এক হাজার টাকা। প্রতি তলায় থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আধুনিক স্লিপিং চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে।

নিজাম উদ্দিন জানান, শুধু এ তিন ভাগেই ভাগ নয়, রয়েছে দুটি ভিআইপি এবং একটি ফ্যামিলি কেবিন। ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় হাজার এবং ফ্যামিলি কেবিনের ভাড়া তিন হাজার টাকা। পাশাপাশি ক্যাটারমেন টাইপের এ লঞ্চের দুই পাশেই যাত্রীদের রিল্যাক্সের জন্য রয়েছে বারান্দা। রয়েছে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও, যেখানে পাওয়া যাবে চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের খাবার।

এদিকে কাঠসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা ডিজাইন। যাতে আকর্ষিত হবে সাধারণ যাত্রীরা। এমনটাই আশা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।

নিজাম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে আরও জানান, অনলাইন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরে আমরা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমেও টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা চালু করব।

৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৩ মিটার প্রস্থের লঞ্চ দুটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কাজ চলছে ১৫ মাস ধরে।

সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাডভেঞ্চার-৫ ও ৬ লঞ্চের পার্টিশনগুলো তৈরি করা হয়েছে ফাইবার দিয়ে।

এই দুটি নৌযান ২০০ মিটার সামনের নদীর গভীরতা পরিমাপ করতে পারবে। নৌযানের যাত্রীরা আধুনিক ওয়াইফাই জোন সুবিধা ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পাবে বলে জানান লঞ্চ মালিক নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দিবা সার্ভিসে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা। ঈদের আগেই দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে যাত্রীসেবায় নামবে অ্যাডভেঞ্চার-৫ ও ৬।

(ঢাকাটাইমস/৩জুন/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :