শুল্ক ফাঁকি, জাতিসংঘ কর্মকর্তার গাড়ি জব্দ
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে জাতিসংঘের ইউএনডিপির নিরাপত্তা বিভাগের নিরাপত্তা পরামর্শক সন্তোষ ধুঙ্গানার ব্যবহার করা একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। রবিবার সকালে রাজধানীর গুলশান থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহার করা এবং বাংলাদেশে ‘প্রিভিলেজড পারসন’ কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করায় গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
ধুরাঙ্গা ২০১৬ সালের প্রথমদিকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তার বাড়ি নেপালে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের চলমান চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে সকালে গুলশানের ১১৭ নম্বর সড়কের ৯/সি বাড়ির প্রথম তলার শিহাব’স অ্যাট্রিয়াম থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। বিএমডব্লিউ মডেলের গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো অ-০০০৪৪৩।
সূত্রটি আরও জানায়, বিআরটিএ তে যোগাযোগ করে প্রাথমিকভাবে এটি ভুয়া বলে জানা গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিলোকেশন অ্যাসিসটেন্স সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালমান কালাম নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। জব্দের সময় তিনি কোনো আমদানি বা ক্রয় সংক্রান্ত দলিল শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলকে দেখাতে পারেননি। তবে তিনি উল্লেখ করেন গাড়িটি তার ভাড়াটিয়া নেপালি নাগরিক সন্তোষ ধুঙ্গানা ব্যবহার করতেন।
জানা গেছে, গাড়িটি বাংলাদেশে ‘প্রিভিলেজড পারসন’ কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হলেও পরবর্তীতে কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে এটির নিষ্পত্তি না করে ধুঙ্গানা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দার কাছে তথ্য ছিল যে, ধুঙ্গানা গাড়িটি অবৈধভাবে বর্তমান ব্যবহারকারী নন প্রিভিলেজড পারসনের কাছে হস্তান্তর করে এর মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যা শুল্ক আইনে শাস্তিযোগ্য। শুল্ক গোয়েন্দার চলমান অভিযানের ফলে গাড়িটি প্রায় ছয় মাস ধরে গুলশানের ওই বাড়ির গ্যারেজে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গাড়িটির বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এএ/এমআর
মন্তব্য করুন