কয়েকদিনের মধ্যেই গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে পিয়ংইয়ং
চলতি মাসের মাঝামাঝিতে গুয়ামে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রকে আবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর আরও আগ্রসী হয়ে ওঠেছে উত্তর কোরিয়া। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। এরপর আজ আরও পরিষ্কার করে দিনক্ষণ জানিয়ে দিল পিয়ংইয়ং। বলা হচ্ছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অনুমোদন পেলেই ছোঁড়া হবে ক্ষেপণাস্ত্র।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে এক লাখ ৬২ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছে। ছবির মতো সুন্দর দ্বীপটিতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু গুয়ামের গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ছয়হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এখানে। রয়েছে অ্যান্ডারসেন সেনাবিমান ঘাঁটি এবং নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিও। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক কালে কোরীয় উপদ্বীপে শক্তি প্রদর্শনে অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটি থেকেই উড়ে যায় বোমারু বিমান। তাই বেছে বেছে গুয়ামকেই লক্ষ্য করতে চাইছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার উপরে কিছু দিন আগেই নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘও আর্থিক নিষেধে সিলমোহর দিয়েছে। সব মিলে বেশ কোণঠাসা কিমের দেশ।
মার্কিন এক পত্রিকা দেশের গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র থেকে পরমাণু অস্ত্র ছোড়ার কাজ আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তবে এক বিশেষ প্রযুক্তির (যার দ্বারা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সফল ভাবে পরমাণু অস্ত্র ছোড়া সম্ভব) অনুপস্থিতি উত্তর কোরিয়াকে এখনও পূর্ণ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করার একমাত্র বাধা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/জেএস)