বঙ্গবন্ধুর অবদান কেউ মুছতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জন্মে বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকারকারীদের দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবদান কেউ মুছতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল ঘোষণা করে রায়ের পর্যালোচনায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই। তার এমন মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একক চেষ্টায় সবকিছু হয় না। অবশ্যই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো নেতৃত্বে দিতে হয়েছে। কিন্তু সবকিছুর পেছনে একটা নেতৃত্ব, প্রেরণা, উৎসাহ, আদর্শ, প্রেরণা থাকে, সেই নেতৃত্ব হিসাবে শক্তি ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেকে সুযোগ পেলে বিকৃত ইতিহাস সামনে তুলে আনার চেষ্টা করে। আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ইতিহাস সঠিক ধারায় ফিরিয়ে এনেছি। জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সঠিক ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখা যায় না, রাখতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। ইতিহাস বিকৃত করে মানুষকে আর ভুল বোঝানো যাবে না।
স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধ চায়নি তাদের প্রেতাত্মারা এখনও বাংলাদেশে আছে এমনটা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সুযোগ ফেলে ছোবল মারে। এ বিষয়ে জনগণকে বুঝাতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলে একজন পাঠককে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। যাকে দিয়ে পাঠ করানো হয় তাকে হিরো বানানোর চেষ্টা হয়।’
২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার প্রহসনমূলক বিচার করে তার (শেখ মুজিবুর রহমানে) ফাঁসির রায়ে পর্যন্ত সই করে দিয়েছিলেন। কই ইয়াহিয়া তো জিয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি। তার কথাও বলেননি। তিনি শুধু একজনের কথা বলেছিলেন। সেটা হলো শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে দোষারোপ করে পাকিস্তানের শত্রু হিসাবে ঘোষণা করেছিল ইয়াহিয়া। কাজেই এই সত্যটা যে উপলব্ধি করতে পারবে না, সে আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না, আমার সন্দেহ আছে।’
ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/টিএ/এমআর