বরিশাল নগরীতে ময়লা পরিষ্কার বন্ধ

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৭, ২১:৪৪

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশনে জায়গা না থাকায় বন্ধ রয়েছে নগরীর বর্জ্য সংগ্রহ। শঙ্গলবার সকাল থেকে এ বর্জ্য সংগ্রহ না করায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।

দুপরে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পক্ষ থেকে কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ময়লা অপসারণের বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান পরিছন্নতা কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা।

তিনি জানান, কোন ব্যবস্থা করতে না পারলেও নগরবাসীকে তো দুর্ভোগে ফেলা যাবে না। তাই নতুন একটি জায়গা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। সমাধানের চেষ্টা সফল হলে তখন জানানো হবে।

এদিকে বিসিসির পরিছন্নতা বিভাগের কর্মীরা জানান, কর্পোরেশনের নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনের ময়লা ফেলার কোন জায়গা নেই। পাশাপাশি স্টেশনে ট্রাক ঢুকানোর সব কটি প্রবেশ পথ বর্জ্যের কারণে আটকে গেছে। তাই ট্রাক ডাম্পিং স্টেশনে মধ্যে ঢুকছে না। এ অবস্থায় নগরী থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ট্রাকবোঝাই করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। কিন্তু বর্জ্যগুলো ট্রাকে রাখলে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই বর্জ্য সংগ্রহ করা করা হয়নি।

বর্জ্য ফেলার বিকল্প স্থান দেয়া হলে দ্রুত নগরীর ৩০ ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হবে বলে জানান পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।

বিসিসির পরিছন্নতা কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা জানান, প্রতিদিন নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে একশ টনের মতো বর্জ্য সংগ্রহ করে এ স্টেশনটিতে ফেলা হয়। কিন্তু ওই পরিমাণের বর্জ্য ধ্বংস করার জন্য সেখানে আধুনিক ব্যবস্থা নেই। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বর্জ্য মাঝেমধ্যে পুড়িয়ে ফেলা হলেও কঠিন পদার্থগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। এখন তো সেখানে ময়লার গাড়িই ঢুকতে পারছে না, তাই ট্রাকচালকরাও নগরীর বর্জ্য ট্রাকে তুলছে না।

২০০৪ সালের শেষের দিকে নগরীর কাউনিয়ার পুরানপাড়া, হোসনাবাদ, কাউনিয়া ও সাপানিয়া সংযোগ এলাকায় ছয় একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ডাম্পিং স্টেশন। ওই সময়ে স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে একটি টিনের চালাসহ একটি চুল্লি নির্মাণ করা হয়েছিল, যা কিছুদিন পরেই বিকল হয়ে যায়। পাশাপাশি বর্জ্য আধুনিক পদ্ধততিতে রিসাইক্লিনিং করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ময়লা ফেলতে ফেলতে এলাকাটি ময়লার স্তূপে ভরে যায়।

এ বিষয়ে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আশাকরি, স্বল্প সময়ের মধ্যে বিকল্পস্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/টিটি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :