রাতে বাড়ির ওপর আগুনের মতো দেখেছি
মিরপুরের মাজার রোডে জঙ্গি আবদুল্লাহর আস্তানা সন্দেহে যে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে র্যাব, তার তিন তলায় ভাড়া থাকেন রওশন আরা। মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে ওই ভবন থেকে বের করে আনা হয় তাদের। তার আগে সারা রাত এক আতঙ্ক ও ভীতিকর সময় কাটিয়েছেন রওশন আরাদের মতো আরো অনেক পরিবার।
রওশন আরা মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে তার সেই ভীতিকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাদের ভবনের ওপর আলোর ঝলকানি দেখতে পেয়ে তারা প্রথমে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে জানতে পারেন এই ভবনে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে।
র্যাবের ভাষ্যমতে, মাজার রোডের ওই ছয়তলা বাড়িটির পাঁচ তলার একটি ফ্লাটে প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন জঙ্গি আবদুল্লাহ। গত রাত থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে র্যাব। সকালের দিকে ভবনের সাধারণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।
রওশন আরা সাংবাদিকদের কাছে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘রাত ১২টার পর ভবনের উপরে আগুনের মতো দেখতে পাই। আমরা তখন মনে করেছি বিদ্যুতের শটসার্কিট হয়েছে। এরপর বাড়ির আশপাশে র্যাবের তৎপরতা দেখতে পাই। তখন বুঝতে পারি এ ভবনে জঙ্গি অবস্থান করছে।’
রওশন আরার ভাষ্যমতে এরপর গোটা পরিবারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ‘আমরা সবাই এক রুমে অবস্থান নিই। সারা রাত ওই রুমে কাটে আমাদের। ভোরে র্যাব আমাদের নিরাপদে বের করে আনে।’
ঘটনাস্থলে আবস্থান করছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুনেছি জঙ্গি আব্দুল্লাহ এ এলাকায় ১৫ বছর ধরে আছে। আমরা কেন এটা আগে জানতে পারিনি এ প্রশ্ন আপনারা করতে পারেন। কিন্তু তারা তো সাধারণ মানুষের মতোই চলে। তবে এর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অবস্থান জানতে পারছে। তাদের ধরছে। এটা আমাদের বাহিনীর সফলতা। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
মিরপুরের দারুস সালামের ২/৩/বি নম্বর বাড়িতে জঙ্গি আবদুল্লাহ সপরিবারে থাকেন বলে জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান, জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে সেখানে তার দুই স্ত্রী আছে। ভেতরে দুটি শিশুও আছে। তাই অভিযান পরিচালনায় দেরি হচ্ছে। আর জঙ্গি আবদুল্লাহকে আতম্সমর্পণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছ।
(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/জেআর/মোআ)